বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮
রাজশাহী-২ আসনটি রাজশাহী শহরের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসনটি তে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিএনপি থেকে মিজানুর রহমান মিনুকে প্রার্থী করা হয়েছে।
অথচ তার সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে খোদ বিএনপি থেকেই। রাজশাহী সিটি মেয়র নির্বাচনের সময় বিএনপি থেকে তাকে মেয়র প্রার্থী করতে চাইলেও তিনি প্রার্থীতা গ্রহণ করেন নি।সে সময় তিনি বুলবুলকে প্রার্থীতা দিয়ে দলের সকলের সামনে সমালোচনায় পড়েন। তার এ আচরণ সবাই ভালো চোখে দেখে নি। এটাই প্রমাণ করে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের জন্য যোগ্য নন, কেননা তিনি দলের বৃহৎ স্বার্থ রেখে নিজের স্বার্থ কেই বড় করে দেখেছিলেন। সিটি নির্বাচনী প্রচার চলার সময় ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়ায় দলের মেয়র প্রার্থী বুলবুলের গণসংযোগকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিতর্কিত ফোনালাপের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ি ভাংচুর করার অভিযোগে তাকে বহিষ্কারও করা হয়।
মিজানূর রহমান মিনু ও তাঁর স্ত্রী সালমা শাহাদতের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।তিনি রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরীর ১৭ শতক জমি ইজারার মালিকানা ক্ষমতার জোরে দখল করেন। তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনেই ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। পরে দুদকের করা মামলার অনুসন্ধানে এসব চমকপ্রদ সম্পদের বিবরণী বেরিয়ে আসে।
সর্বোপরি বলা যায় মিজানুর রহমান মিনুর মত একজন ব্যাক্তিকে প্রার্থী মনোনীত করে বিএনপি নিজেদেরকে জনগণের কাছে আরো ঘৃণার পাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। এসব প্রার্থী নির্বাচিত হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন স্থিমিত হয়ে যাবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়