বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০১৯
‘ফাইনাল’ শব্দটাই যেন ভারী হয়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। চেনা মাঠ, দর্শক নিজেদের। সেমিফাইনালে দুর্দান্ত লড়াই করে ফাইনালে ওঠা, সবই ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে। কিন্তু শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে দুই গোল হজম করেন জামাল ভূঁইয়ারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসির জালে এক গোল দিলেও সমতায় ফেরা হয়নি চট্টগ্রাম আবাহনীর। ঘরের মাঠে তাই শেষ করতে হয়েছে রানার্স আপ হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে।
অথচ চাপ থাকার কথা ছিল তেরেঙ্গানুর ওপর। চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ দর্শকদের গলা-ফাঁটানো চিৎকার। সঙ্গে এটাই তাদের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেওয়া। ৬৩ বছর আগের প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটি প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করল। অবশ্য শেখ কামাল আন্তর্জাতিক কাপে তারা ছিল অপরাজিত দল। শক্তির বিচারে তাই ফেবারিট ছিল তারাই। তবে চ্যালেঞ্জ জানানো চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য পরপর দুই গোল হজম করাই কাল হয়েছে।
মালয়েশিয়ান ক্লাবটির হয়ে ম্যাচের ১৫ মিনিটে লি টাকের কর্নার থেকে হেড করে দলকে প্রথম গোল এনে দেন খোলেন হাকিম বিন আমাত। ২০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান ২-০ করেন মোহদ আলিয়াস। বাম প্রান্ত দিয়ে ঢুকে চোখে লেগে থাকার মতো গোল করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শেখ কামাল ক্লাব কাপের দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলের কোচ বলেন, ‘শিরোপার জন্য আমরাই ফেভারিট'। স্বঘোষিত এই ফেভারিট তকমা ম্যাচের শুরুতেই হারায় চট্টগ্রাম।
১৯ অক্টোবর শুরু হওয়া শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের তৃতীয় এই আসরে দুই দলই ফাইনালে উঠে গ্রুপ সেরা ও সেমিফাইনালে উত্তেজনাকর সমাপ্তির মধ্য দিয়ে। ফাইনালে আসার পথে চট্টগ্রাম আবাহনী হারায় মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস, লাওসের ইয়ং এলিফ্যান্টস ও ভারতের গোকুলাম কেরালাকে। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে হেরে ছিল তারা। সেই মোহনবাগানকেই হারিয়ে ফাইনালে পা দেয় তেরেঙ্গানু।
গ্রুপপর্বে হারিয়েছিল ভারতের চেন্নাই সিটি ও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে, ড্র করেছিল গোকুলামের সঙ্গে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল তেরেঙ্গানু। প্রতিপক্ষের জালে সবচেয়ে বেশি ১৫ গোলও করেছে তারা।
এর আগে ২০১৫ সালে আয়োজিত প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। এবারও চট্টগ্রাম তেমন কিছু করে দেখাবে শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত সেই প্রত্যাশায় করে গেছেন চট্টলাবাসী। কিন্তু খেলোয়াড় এবং ভক্তদের প্রত্যাশার সমাপ্তি ঘটেছে হারে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়