শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২২
মাটির হাড়ি, পাতিল ও পুতুল এখন গল্প কথা। সচারাচর চোখে পড়েনা। বিভিন্ন রথের মেলা বা ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মেলায় চোখে পড়ে এগুলো। সময় বদলে যাচ্ছে তবুও সাংস্কৃতিক মেলাগুলো আজও ধরে রেখেছে তার নিজস্ব ধারা। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল রথের মেলা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নাগরিক জীবনে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে রথের মেলা।
রাজশাহীর নগরীর সাগরপাড়ায় বসেছে রথের মেলা। আজ রোববার (২ জুলাই) বিকেলে গিয়ে রথের মেলায় সব বয়সের মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া রথের মেলাকে কেন্দ্র করেছে বাহারি পরসায় বসেছে বিভিন্ন দোকান। ছোটদের খেলনা থেকে শুরু করে বড়দের আসবাবপত্র ছাড়াও বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে খাবারেও দোকানও।
কল্পনা হলের মোড় থেকে সাগরপাড়া পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে এসব দোকান বসানো হয়েছে। দোকানগুলোতে মাটির পুতুল, কাঠের খেলনা, বাহারি সব খাবার, তৈজসপত্রেরসহ আসবাবপত্রের দোকান। মৃৎশিল্প, আসবাবপত্রসহ নজর করেছে বিভিন্ন শো-পিস। খাবারের মধ্যে চিনির জিলাপি, গুড়রের জিলাপি, নিমকি, গোল নিমকি, মোনাক্কা, সন্দেশ, হাওয়ায় মিঠাই, বাদামের খাঁজা, তিলের খাঁজা, ঝুড়ি বুন্দিয়া, ফুচকা ও বাহারি ফলের আচার পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় মিতালী দাস তার ৫ বছরের মেয়ের জন্য কিনছেন পুতুল, বাসনকোসন, মাটির ব্যাংক। তিনি বলেন, ২ বছর পর মেলা বসেছে। এবার অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে। অনেক মানুষ এসেছে মেলায়। ছোটবেলায় দীদাদের দেখেছি মেলা হলেই খাবার, খেলনাসহ অনেকে জিনিস নিয়ে আসতো।
ব্যবসায়ী রঞ্জন রায় জানায়, বিক্রি খুব ভালো না। কারণ অনেকেই জানে না মেলা বসেছে। আন্তে আন্তে বিক্রি বাড়বে। আমার দোকানে ছোটদের খেলনা বেশি বিক্রি হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়