শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২০
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডিকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেশন ফি না দেওয়ায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে তিনি নতুন বই দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ওই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারী এ উচ্চবিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু গত রোববার কামেল মার্ডিকে এ নোটিশ দিয়েছেন। তাঁকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ওই নোটিশের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে বছরের প্রথম দিনটি ছিল দেশজুড়ে বই উৎসব। তানোর উপজেলার একমাত্র সরকারী মুন্ডুমালা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিন (বুধবার) বই না দিয়ে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ২য় দিন (বৃহস্পতিবার) সরকারে বিনামূল্যে বই বিতরণকালে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে সেশন ফি নামে ১১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। যা সরকারী আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি সরকারে ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তদুপরি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে শোকজ নোটিশের উল্লেখ্য যোগ্য জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার এ প্রতিবেদককে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডি কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সরকারী এ উচ্চবিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও নির্বাহী ক্ষমতা বলে এই শোকজ নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু। ইউএনও জানান, প্রধান শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিন কর্ম দিবসের মধ্যে নোটিশের জবাবও চাওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম দিন সারা দেশে ছিল বই উৎসব। কিন্তু তানোরে একমাত্র মুন্ডুমালা স্কুলে শুধু সেশন ফি না পেয়ে বছরের প্রথম দিন প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীকে নতুন বই না দিয়ে ফিরিয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভে সৃষ্টি হয়।
এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেশন ফি ছাড়াই বই বিতরণ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের নিদের্শনা না মেনে গত ২ জানুয়ারিতেও ১১০০ টাকা নিয়ে প্রায় ১৪০ জন শিক্ষার্থীকে সরকারে দেওয়া বিনামূল্যের বই দেন। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
এমএমআই
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়