শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আসন্ন কয়েকটি উপ-নির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছে বিএনপির হাইকমান্ড। আর এ কারণে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ এই তিন আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ২১ মার্চ। এছাড়া আগামী ২৯ মার্চ যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনেরও উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একইদিনে হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ২১ মার্চের নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে বসেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
আর এসব ব্যস্ততার কারণেই খালেদা জিয়ার মুক্তিতে অনেকটা আগ্রহ নেই দলটির। দলীয় গোপন সূত্রে জানা গেছে, লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশ, এই মুহূর্তে অন্যসব এজেন্ডা সাময়িক স্থগিত করে নির্বাচন নিয়ে কাজ করতে। শুধু নির্বাচন নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।
তবে এর পেছনে জয়লাভের ইচ্ছা নয়, বরং মনোনয়ন বাণিজ্যই মূল কারণ বলেও বিএনপিরই একটি অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে। অতীতের নির্বাচনগুলোতেও লন্ডন পলাতক তারেক মনোনয়ন দিয়ে প্রার্থীদের থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।। এবারও সেই একই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলছে বলেও বিএনপিরই একটি মহল মনে করছেন।
না প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক বিএনপি নেতা বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত নেত্রীর মুক্তি। কিন্তু সেটা না করে লন্ডন থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে কাজ করার জন্য। অথচ অতীতের নির্বাচনেও দেখা গেছে, মনোনয়নের পর নেতাদের আর সক্রিয় দেখা যায় না। এমনকি লন্ডন অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। দলের এমন বিশৃঙ্খলার কারণে কোনও নির্বাচনেই প্রতিযোগিতায় যেতে পারে না দল।
এদিকে এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের অনেকগুলো এজেন্ডা রয়েছে। তবে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি উপ-নির্বাচন ও চসিক নিয়ে। বেগম জিয়ার মুক্তির ইস্যুতেও কাজ হবে, তবে সেটি আপাতত স্থগিত রেখে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাজ করতে লন্ডন থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী জানান, অতীতের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। আগে নির্বাচন হোক, তারপরই নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন নিয়ে ভাবা হবে।
এদিকে নির্বাচন, নাকি নেত্রীর মুক্তি- এ নিয়ে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে চলছে তুমুল দ্বন্দ্ব। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং মির্জা আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা চাইছেন খালেদা জিয়া আগে মুক্ত হয়ে আসুক। তারপর তারা নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। অপরদিকে ফখরুল এবং রিজভীসহ একটি বড় অংশ মেনে চলছেন লন্ডন অফিসের নির্দেশনা।
এ নিয়ে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে কথা হয়েছে তারেক রহমানের। ফোনালাপে তারেক স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, মুক্তির বিষয় পরে বিবেচনা করা যাবে। আগে নির্বাচন। অন্য কোনও কথা শুনতে চাই না।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়