শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২০
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের দুই নৌকা ডুবির ঘটনায় আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলের অদুরে জেলের জালে আটকা পড়ে নিখোঁজ রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণার (১২) লাশ। পরে উদ্ধার কর্মীরা তার লাশ পড়ে নিয়ে আসে। এ নিয়ে নিহত বেড়ে দাড়িয়েছে সাতজনে।
উদ্ধার স্বর্ণার বাবার নাম রবিউল ইসলাম রবি। তাদের বাড়ি পবায় উপজেলার আলীগঞ্জ মোল্লাপাড়া। স্বর্ণা কনে সুইটি খাতুন পুর্ণির ফুপাতো বোন। স্বর্ণা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।
দমকল বাহিনীর রাজশাহীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, এখনো কনে সুইটি খাতুন পুর্ণি (২০) ও তার খালা আাঁখি খাতুন (২৫) নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হাফ কিলো দুরে পদ্মায় মাছ ধরা জেলের জালে স্বর্ণার লাশ আটকা পড়ে। পরে তারা জেলেরা উদ্ধার কর্র্মীদের জানায়। দুপুর ১টার দিকে তারা দিয়ে স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে পদ্মার পাড়ে নিয়ে যায়।
আব্দুর রউফ বলেন, সকাল ১০টার দিকে অভিযান শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে তারা দ্বিতীয় নৌকার সন্ধ্যান পায়। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। অপর নৌকাটি শনিবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, শনিবার ছয়জনের লাশ পরিবারের কাছে হ্স্তান্তর করা হয়। রাতে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে রাজশাহী শহরের শ্রীরামপুরের বিপরিতে চরখিদিরপুর মধ্যপদ্মায় ৩৬ যাত্রী নিয়ে দুই নৌকা ডুবে যায়। পরে দমকল, বিজিবি, নৌপুলিশ ও বিআইডাব্লুটিএ’র ডুবুরি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন, কনের বড় বোন শাহীনুর বেগমের স্বামী রতন আলী (৩০), তাঁদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৫), চাচা শামীম হোসেন (৩৫), চাচি মিনা খাতুন (৩০), চাচাতো বোন রশ্নি (৭) ও খালাতো ভাই এখলাস আলী (২২)।
স/সা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়