শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২১
রাজশাহীতে তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজন হলে এমপি-মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও কঠোর হবে নির্বাচন কমিশন। পেশীশক্তি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
একটি সুস্থ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের ছাড় দেয়া হবে না’। ভোটকেন্দ্রে কেউ ভোট লুট করতে এলে পুলিশ বসে থাকবে না, প্রয়োজন হলে তাঁরা গুলি করতে বাধ্য থাকবে।
গতকাল রোববার (২১ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভোটকে কেন্দ্র করে কোন মায়ের বুক খালি হোক তা নির্বাচন কমিশন চাই না। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। ইউপি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে।
সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তাদের মোতায়েন করা হবে। সেই লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসারের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে হবে।
উপস্থিত প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নাগরিকের ভোট, ভোটের সরঞ্জাম রক্ষা ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য বিধান রয়েছে। ভোট সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা স্বজনপ্রীতি দেখালে তাকে ছাড় দেয়া হবে না, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে কোন প্রকার খাবার খাওয়া যাবেনা। প্রিজাইডিং ও রিটার্নিং অফিসারদের ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে প্রো-এক্টিভ হতে হবে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনার কাজ শেষ করতে হবে।
পবা উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে নির্বাচনী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল জলিল।
সভাপতির বক্তব্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুততম সময়ে ভোট গণনা করে কেন্দ্রে ঘোষণা দিয়ে উপজেলায় রিপোর্ট করতে হবে। বেলা পাঁচটায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও অনেক কেন্দ্রে দেখা যায় রাত ১০টা বাজলেও ভোটগণনা শেষ হয় না।
এসব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা বিপাকে পড়েন। পাশাপাশি নানা রকম গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তখন অযাতিত উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে বেগ পেতে হয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুততার সাথে ভোট গণনা করে ঘোষণা দিতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, রাজশাহীতে বিগত নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো প্রায় ৮০ থেকে ৮৫% ভোটার ভোট প্রদান করেন।
রাজশাহী জেলায় তৃতীয় ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে বলে জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য আরএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মো. সুজায়েত ইসলাম বলেন, দুষ্ট চক্রকে আগাম চিহিৃত করা হচ্ছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাতে অবাধে যেতে পারেন, তার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসাথে নিরপেক্ষভাবে কাজ করলে ২৮ তারিখের নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও অবাধ।
পবা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম প্রামানিক এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মো. সুজায়েত ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লসমী চাকমা, উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়