শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২
‘যক্ষা হলে নেইকো ভয়, সবাই মিলে করবো জয়’ এই স্লোগান নিয়ে রাজশাহীতে যক্ষা নির্মূলে সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পুতুল নাটক ও গম্ভিরা প্রদর্শনের মাধ্যমে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৮ দিন ব্যাপি ৪৫টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে চলবে এই কর্মসূচি। কর্মসূচির অনুষ্ঠানগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হাটবাজারেও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে সকলের মাঝে যক্ষা বিষয়ে নতুন করে সচেতন করে তোলা হবে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর পবা উপজেলার ঘোলহাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১১টার দিকে যক্ষা বিষয়ক সচেতনতা মূলক কর্মসূচিতে পুতুল নাটক ও গম্ভিরা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্কুলটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনী কেন্দ্রের পাশে যক্ষার প্রাথমিক লক্ষণ নির্ণয়ে একটি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
আয়োজকদের দেয়া তথ্য মতে, যক্ষা বিষয়ক ভ্রান্ত ধারণা ও যক্ষা নির্মূলে নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্দেশ্যে যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচির অধীনে আইসিডিডিআর,বি পরিচালিত ইউএসএআইডি’স অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) কার্যক্রমের আওতায় এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনটি বিশেষভাবে সজ্জিত গাড়ির মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ নাটক প্রর্দশন করা হয়। বিনোদনমূলক পরিবেশে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই রাজশাহীর জনপ্রিয় গম্ভীরা গানে নানা-নাতির খুনসুটির মাধম্যে পুতুল নাটকটি প্রর্দশন করা হয় । এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মানতে শিশুদের মাস্ক দেওয়া হয় এবং তাদের মাঝে পুতুল রং করতে দেওয়া হয়।
জল পুতুল প্রকল্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, বড়দের যক্ষার বিষয়টি মানুষ জানলেও শিশুদের বিষয়টি অনেকেই জানেন না; তাই শিশুদের যক্ষা নিমূর্লে সচেতন করতেই এই আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের আকৃষ্ট করা এবং বোঝার সুবিধার্থে পুতুল নাটকের মাধ্যমে প্রচরণা করা হচ্ছে এবং গম্ভীরা যেহেতু রাজশাহীর জনপ্রিয় গান তাই এই বিনোদনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির এই উদ্যোগ।
উল্লেখ্য, যক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট যক্ষা রোগীর ১০ শতাংশ শিশু। যার মধ্যে ২০২০ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৪ শতাংশ সনাক্ত করতে সক্ষম হয় যাদের বয়স শূণ্য থেকে ১৪ বছর । এ রোগ শিশুদের মাঝে নীরবে বিস্তার লাভ করে ও অগোচরেই থেকে যায়, যা পরবর্তীতে মরণঘাতী ব্যাধি হিসেবে প্রকাশ পায়।
প্রচলিত ভুল ধারণার কারণে যক্ষা রোগে আক্রান্তের বিষয়টি গোপন ও অবহেলা করা যক্ষা পরিস্থিতিকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । যক্ষার লক্ষণ সনাক্ত ও চিকিৎসা পেতে এবং যক্ষা নিমূর্লে এই প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়