শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অবহেলা-অযত্নে একমাত্র স্টেডিয়াম মাঠটি প্রায় দুই যুগ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাঠের চারপাশে ঝোপঝাঁড় আর খানাখন্দে ভরে গেছে। এখন মাঠে দিনের বেলায় গরু-ছাগল চরে, রাতে মাদকের আড্ডা।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে প্রায় সাড়ে ৫ একর জমির উপর পুঠিয়ার একমাত্র স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে পুঠিয়াসহ নিকটবর্তি উপজেলার বিভিন্ন খেলাধূলা গুলো এই স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হতো।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে প্রায় দুই যুগ থেকে মাঠটি অ-ঘোষিত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমানে মাঠের দুই প্রান্তে প্রবেশদারে লোহার গেইট, ভবনের দরজা-জানালা এবং আসবাপত্র কিছুই নেই।
সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় জিতেন রবিদাস বলেন, এখন কোনো খেলাধুলার আয়োজন মানেই একমাত্র ভরসা পুঠিয়া পিএন হাই স্কুল ও রাজবাড়ী মাঠ। অথচ পুঠিয়া সদর এলাকায় একটি স্টেডিয়াম মাঠ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে পর্যায়ক্রমে মাঠটি সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানা বনে গেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্র-ছায়ায় এখন স্কুল-কলেজের ছাত্র এবং যুব সমাজ খেলাধূলার পরিবর্তে ক্রমেই বিপদগামী হচ্ছে। মাঠটি সংস্কার করলে আবারো এই স্টেডিয়ামের প্রাণচাঞ্চল ফিরে আসবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, স্টেডিয়াম মাঠটি সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত হওয়ায় সেখানে অসামাজিক কাজ হয় এটা আমি শুনেছি। মাঠটি আরও বড় পরিসরে সংস্কার কারার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, আমি এই উপজেলায় আসার পর স্টেডিয়াম মাঠে গিয়েছি। সরকার সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে মিনি স্টেডিয়াম করার যে পরিকল্পনা করেছেন। অচিরেই এই মাঠটি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামকরণ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়