শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
রাজশাহী পুঠিয়ায় গন্ডগোহলী নিমতলা হতে কানাইপাড়া মজিদ পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা দিয়ে সংস্কারের কাজ চলছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন, উপজেলা এলজিইডি অফিস এবং রাস্তার কাজের ঠিকাদারের যোগসাজশে রাস্তাটি অতি নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে গন্ডগোহালী নিমতলা হতে কানাইপাড়া মজিদ পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার রাস্তা ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকার সংস্কারের কাজটি করছে মোঃ শিহাব উদ্দিন নামে এক ঠিকাদার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গন্ডগোহলী নিমতলা হতে কানাইপাড়া মজিদ পর্যন্ত রাস্তাটির পুরাতর ইটের খোয়া উঠানো হয়েছে। কাজের নিয়যায়ী পুরাতন খোয়াগুলি রাস্তার নীচে দিতে হবে। আর নতুন খোায়াগুলি উপরে দিতে হবে। কিন্তু ঠিকাদার তা না করে, সম্পূর্ণ রাস্তা জুড়ে পুরাতন খোয়া দিয়ে রোলাল করে রেখেছেন। কোথাও কোথাও পুরাতন ইটের খোয়া দেয়ার ফলে খোয়ার অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকাবাসীরা বলছে, ঠিকাদারের লোকজন তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে সংস্কারের কাজ করছে। কয়েক দিনের ভেতর কার্পেটিং কাজ শুরু করবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আনোয়ার হোসেন, সম্রাটসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ করে বলেন, এই রাস্তাটি নতুন ভাবে নির্মাণ করতে সরকার লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের গাফলতি ও যোগসজশের কারণে ঠিকাদার আগের রাস্তাটি নিম্নমানের খোয়া ও কার্পেটিং মিশ্রণ দিয়ে নামমাত্র দায়সাড়া কাজ করছে। তারা আরো বলেন কাজ শেষ হওয়ার এক মাসের ভেতর রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গাচুড়া শুরু হবে। কোনো কোনো স্থানে বালি ইটের খোয়া ঠিকমতো পানি দিয়ে রোলাল করা হয়নি। যার জন্য আগামী বর্ষা মৌসুমের পর রাস্তাটি পূর্বের মতো ভাঙ্গাচুড়া দেখা দেবে।
দীর্ঘদিন এলাকাবাসী রাস্তাটি নিয়ে কষ্টো ভোগ করার পর রাস্তাটি কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তাটি মানুষের বেশি দিন উপকারে আসবে না। এই সংস্কারের কাজের দেখভাল নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন,পুরাতন ইটের খোয়া দেয়ার নিয়ম আছে। তাই ঠিকাদার পুরাতন খোয়া দিচ্ছেন। রাস্তা জুড়ে পুরাতন খোয়ার ব্যবহারের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এখনই রাস্তাটি দেখতে যাচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, রাস্তাটি কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঠিকাদারকে কোনো ভাবেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে দেয়া হবে না। যদি করে থাকেন। তাহলে তাকে পুর্ণরায় সংস্কারের কাজ করানো হবে।
স/সা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়