মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২০
রাজশাহীর তানোরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাড়ি পেলেন ১৫ গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার। এরমধ্যে প্রথমেই রয়েছেন সেই ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি। অবহেলিত এসব গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী আনুষ্ঠানিক ভাবে সুবিধাভোগীদের হাতে এসব আধাপাকা বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।
এউপলক্ষে গতকাল (৩০ নভেম্বর) সোমবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো।
উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন এলাকার মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংগ্রামী যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
করোনাকালে এ দুর্যোগ মুহূর্তে এসব বাড়ি উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার সুস্থতা কামনা করেছেন হতদরিদ্র সুবিধাভোগীরা।
এতে বিশেষ অতিথির আরও বক্তব্য দেন, তানোর সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বীকৃতি প্রামানিক, তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান, তানোর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক প্রদীপ সরকার ও পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন প্রমুখ।
সুবিধাভোগীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলায় ১৫টি সেমি পাকা (আধাপাকা) বাড়ি নির্মাণ করা হয়।
প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে চৌচালা টিনের ছাউনির দুটি ঘর, যার দৈর্ঘ্য ২২ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুটসহ মেঝে পাকাকরণ।
প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি করে কাঠের দরজা ও দুটি করে জানালা। ঘরের একপাশে রান্নাঘর, টয়লেট, স্টোর রুম এবং অন্য পাশে একটি পাকা বারান্দা ও সিঁড়ি। এতে বরাদ্দ ধরা হয় প্রায় ৩০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আদি পেশা কৃষি। হতদরিদ্র এসব মানুষ অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যতিক্রম উদ্যোগে তাদের আশার আলো জাগানোর পাশাপাশি সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষা উপকরণ দেয়া হচ্ছে।
তাদের পরিবারে বেশ কয়েকজন সদস্য। বাপ-দাদারা বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনির কুঁড়েঘরে বসবাস করে আসছিলো। ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ত। সন্তানদের কষ্ট হতো।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া বাড়িতে এক মাস ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তারা। তারা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া বাড়ি তো নয়, যেন তারা স্বর্গ পেয়েছেন।
আরেক সুবিধাভোগী জানান, বাবার জীবন কেটেছে বেড়ার ঘরে। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমারও জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে বেড়ার ঘরে। আমাদের খেটে খাওয়া সংসার। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি ইটের পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারব।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন খেয়ে না খেয়ে ইটের বাড়িতে নিশ্চিন্তে সন্তানদের নিয়ে ঘুমাতে পারছি।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এর আগে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে সুবিধাভোগীদের বাছাই করা হয়েছে।
এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়িগুলো তৈরি করে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী স্যারের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বাড়ি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এর আগে সাংসদ মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়