বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৪ ১৪৩১
|| ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সারাদেশে আমের জন্য বিখ্যাত হচ্ছে রাজশাহী জেলা। বর্তমানে আমের পাশাপাশি স্থানীয় চাষিরা বাণিজ্যিক ভাবে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ফল উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন। আধুনিক প্রযুক্তিতে ফল চাষ আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় অনেক তরুণ উদ্যোক্তা এগিয়ে আসছেন।
চাষিরা বলছেন, এত পরিশ্রমের পর মৌসুমি ফল গুলো উৎপাদিত হয়। তবে তা সংরক্ষণ করতে কোথাও কোনো সংরক্ষণাগার নেই। যার কারণে বাজারে চাহিদার অতিরিক্ত ফল গুলো নিয়ে সাধারণ চাষিরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। অনেকেই বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে তা বিক্রি করছেন। তবে সম্প্রতি কৃষি বিভাগের সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠা করায় আগামীতে ফল চাষিরা আর্থিক লাভের আশা দেখছেন।
পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভূইয়া বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি মিনি ফল সংরক্ষণাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম ও রাজশাহীর পুঠিয়া। ৪ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিটি মিনি ফল সংরক্ষণাগার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
এই সংরক্ষণাগারে ৪ থেকে ১৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রায় ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন ফল রাখা যাবে। পুঠিয়ার শিবপুরহাট এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সংরক্ষণাগারটি ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। গত আমের মৌসুমে এটা চালু করতে চেয়েছিলাম। তবে যথা সময়ে বিদ্যুতের সংযোগ না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এখন সব কিছু প্রস্তুত আছে, যেকোনো সময় চালু করা হবে।
পুঠিয়া উপজেলার সফল চাষি ও ধোকড়াকুল কলেজের প্রভাষক মুন্সি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আম রাজশাহী অঞ্চলের উৎপাদিত প্রধান ফল। সম্প্রতি মাল্টা ও ড্রাগনসহ বিভিন্ন বিদেশি ফল এই এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ফল গুলো সংরক্ষনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে বাধ্য হয়ে চাষিরা নামমাত্র মূল্যে উৎপাদিত ফল গুলো বাজারজাত করছেন। আবার অনেক চাষিই প্রতিবছর আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সস্প্রতি কৃষি বিভাগ একটি মিনি ফল সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছেন। যা স্থানীয় ফল চাষিদের জন্য খুবই সু-সংবাদ। আমরা আশা করি চাষিদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকগণ ফল সংরক্ষণাগার স্থাপনে এগিয়ে আসুক।
এ ব্যাপারে রাজশাহী কৃষি বিভাগের প্রকল্প পরিচালক ড. হাসান উজ্জামান বলেন, রাজশাহী জেলায় প্রথম পুঠিয়াতে পাইলট প্রকল্পে একটি মিনি ফল সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ৪টন পরিমানে ফল সংরক্ষণ রাখা যাবে।
স্থানীয় চাষিরা আম, ড্রাগন, গাজরসহ বিভিন্ন ফল সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। আর এই সংরক্ষণাগার চলতি মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়