শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২১
ছোট্ট একটি কক্ষ। সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে বড় বড় ছয়টি সেল্ফ। সেল্ফ ভর্তি নতুন পুরনো হাজারো বইয়ের সমাহার। সেল্ফের পাশেই লম্বা তিনটি টেবিল। তার দুইপাশে রয়েছে ১৫-২০টি চেয়ার।
আর কক্ষের দেয়ালে চারদিক সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের ছবি দিয়ে। রয়েছে ম্যুরাল আর নানান স্মারক। দেখলে মনে হবে ছোটোখাটো একটি গ্রন্থাগার। বেশ ছোটো হলেও এর মহত্ব অনেক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রেম, ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা ও দর্শন নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই তৈরি করা হয়েছে এটি। বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’র কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী প্রো-ভিসি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়েছে এই কর্নারটি।
কর্নারটিতে রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি বইয়ের সংগ্রহ। মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত সাড়ে তিন হাজার মূল্যবান গ্রন্থ ছাড়াও রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এগারো শত বইয়ের বিশাল সম্ভার। পরিদর্শনের পাশাপাশি যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করেন তারা নিয়মিত আসেন কর্নারটিতে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, চিন্তা-চেতনা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এখানে ভিড় জমায়। ঘন্টার পর ঘন্টা বইয়ের মাঝে মুখ লুকিয়ে থাকেন তারা। নিরিবিলি কর্নার যেনো পরিণত হয় জ্ঞান পিপাসুদের আখড়ায়।
অবসর সময়ে সেখানে বসে বই পড়ে কাটাতে পারে শিক্ষার্থীরা। তার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়েরর নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্বর্ণালী আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তার অবদান সম্পর্কে সবারই কম-বেশি জানা। তারপরও তাকে গভীরভাবে জানতে কর্নারটিতে প্রায়ই যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর ছোট্ট এই জীবনে অসামান্য কৃতিত্ব তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে যুগের পর যুগ। বঙ্গবন্ধু কর্নার এর অন্যতম উদাহরণ।
আরেক শিক্ষার্থী তানঝুম তনু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছে এখানে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশপ্রেম, ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ত্যাগ ও অবদান সম্পর্কে জানতে মাসে কয়েকবার এখানে আসি। সময় পেলেই ছুটে যাই কর্নারটিতে।
শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর সফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা এখানে আসে। তারা বঙ্গবন্ধুকে নতুন করে জানতে এই কর্নারটিতে ভিড় জমায়।
প্রায় দুই বছর আগে বঙ্গবন্ধু কর্নারের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এটি একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এখানে সব মিলে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি গ্রস্থ রয়েছে। প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে বইয়ের সংখ্যা।
বঙ্গবন্ধু কর্নারটি প্রতিষ্ঠাতা এবং তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছে। যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে জানতে পারবে, পাশাপাশি স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস অনুধাবন করতে পারবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়