শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২১
মুঠোফোনে ‘জিনের বাদশা’ সেজে জটিল রোগ থেকে মুক্তি, দামি উপহার ও বিপদ থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। প্রলোভনে পড়ে সেই জিনের বাদশাকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ দিয়ে বসেন এক কৃষক। এরপরই যোগাযোগ বন্ধ। ভুক্তভোগী এই কৃষকের অভিযোগ পেয়ে কথিত জিনের বাদশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আটক হওয়া কথিত জিনের বাদশার নাম জামিরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার কানিপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী কৃষক আফসার আলী রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা। রাজশাহীর পুলিশ সুপারের কাছে তিনি অভিযোগ করার পর রোববার ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বাগমারার কানাইশহর গ্রামের আফসার আলীর কাছে ভরাট কণ্ঠের এক ব্যক্তি নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে ফোন করেন। ওই সময় আফসার তাঁর অসুস্থ ভাইকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন।
আফসার কথিত জিনের বাদশাকে বিপদের কথা জানালে তিনি উদ্ধারের আশ্বাস দেন। একপর্যায়ে তিনি কিছু নগদ অর্থ দাবি করেন। এভাবে কয়েক দফায় তিন লক্ষাধিক টাকা দেন আফসার।
একপর্যায়ে আফসারকে কিছু সম্পদ দেওয়ার প্রলোভন দেখান কথিত জিনের বাদশা। এ জন্য তিন ভরি স্বর্ণালংকার দাবি করেন। প্রলোভনে পড়ে সেটাও পরিশোধ করেন আফসার। একপর্যায়ে জিনের বাদশা যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে আফসার আলী প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এরপর রাজশাহী পুলিশ সুপারের কাছে যান। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রযুক্তি ব্যবহার করে কথিত জিনের বাদশাকে শনাক্ত করেন।
গতকাল রোববার গাইবান্ধা পুলিশের সহযোগিতায় জিনের বাদশা পরিচয় দেওয়া প্রতারককে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে কিছু টাকাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রতারিত কৃষক আফসার আলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনের নির্দেশনায় অল্প সময়ের মধ্যে প্রতারককে ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। খোয়া যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়