শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৯ মে ২০২০
শীতের আলুতে কৃষক বাম্পার মেরেছে। খুরচা বাজারে আলুর কেজি এখন ৩০ টাকা। আলু তুলে সেই জমিতেই কৃষক রোপণ করেছে ধান ও ভুট্টা। এখানেও ফলন হাইফাই।
এছাড়া বিলের জমির ধানতো রয়েছে। রয়েছে শত শত পুকুর-দীঘি ভরা মাছ। ফলে করোনা সংকটেও বাগমারার কৃষকদের মনোবল অটুট রয়েছে।
স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় দেড় মাস ধরে চলমান করোনা সংকটে অস্থির হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। এই অস্থিরতার কাঁপন এসে লাগে বাংলাদেশেও। শুরু হয় লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিন সহ নানাবিধ শৃঙ্খল। এসব শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য মতে, এই উপজেলায় প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে কৃষক প্রায় ৮০ হাজার। চলমান করোনা সংকটে এলাকার বিভিন্ন পেশার লোকজনের কিছু অংশ সাময়িক খাদ্য সংকটে পড়লেও এলাকার কৃষক শ্রেণি রয়েছে বহালতবিয়তে।
কৃষকরা জানায়, গত শীত মৌসুমে বাগমারার অন্যতম ফসল আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মন হারে আলু পেয়েছে তারা। প্রান্তিক কৃষক ছাড়া অধিকাংশ কৃষক সেই আলু ষ্টোরজাত করেছে। বাজারে সেই আলুর খুচরা দর এখন প্রতি কেজি ৩০ টাকা।
কৃষকরা জানায়, আলুর জমিতে বোরো ধান বা ভুট্টা চাষে তেমন সারের খরচ হয় না। অল্প সার ও নিয়মিত সেচ দিলে এই দুটো আবাদ অনায়াসে ঘরে তুলতে পারে কৃষক। সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো এবং পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে হয়েছে ভুট্টার আবাদ।
অনুকূল আবহাওয়া ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরমর্শ ও সহযোগিতায় এ দুটো আবাদের ফলনও হয়েছে বাম্পার। সবে বোরো ধানে সোনালী রং ধরেছে এবং ভুট্টার দানা পুষ্ট হতে চলেছে।
মাড়িয়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম ও হামিরকুৎসার কৃষক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, তারা অধিকাংশ আলুর জমিতে ধান ও ভুট্টা রোপন করেছেন। এছাড়া বিলের জমির ধান তো রয়েছে। এসব আবাদ এখন চোখে পড়ার মত। তাদের মতে, কোনরকম প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আলুর মত এ দুটো আবাদ কৃষক ঘরে তুলতে পারলে কৃষকের আর কোন দুশ্চিন্তা থাকবে না।
তবে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন মোহনপুরের কৃষক বেলাল হোসেন ও তাজুল ইসলাম সহ ১০/১২ জন কৃষক। তারা জানান, কৃষি শ্রমিকের এবার খুবই সংকট। তার উপর হুহু করে নদীর পানি বাড়ছে। তাদের মতে এটা আগাম বন্যার পূর্বাভাস। এভাবে আগাম বন্যা চলে আসলে পরে রোপন করা ও বিলের নিচু জমির ধানের কিছু ক্ষতি হতে পারে বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার ড. রাজিবুর রহমান জানান, এর আগে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন ধান ও ভুট্টার ফলনও তেমনি আশানুরুপ। কৃষকরা ভালোভাবেই দিনাতিপাত করছে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকের পাশে আছি। তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। করোনা মোকাবেলায় তাদেরকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়