বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২১
রাজশাহীর বাগমারায় রাতের অন্ধকারে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে এলাবাসীর হাতে আটক হলেন কলেজ ছাত্র আসাদুল ইসলাম (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামে। কলেজ ছাত্র আসাদুল ইসলাম উপজেলার কহিতপাড়া গ্রামের বাহার আলীর ছেলে।
ওই ঘটনায় প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে আসাদুল ইসলামকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই মামলায় আসাদুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাগমারা থানার মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের কহিতপাড়া গ্রামের বাহার আলীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে আসাদুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে একই ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামের জনৈক ব্যক্তির অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ের (১৩) সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে।
এক পর্যায়ে আসাদুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সর্ম্পক তৈরী করে। মাঝের মধ্যে আসাদুল ইসলাম তার বাড়ি কহিতপাড়া থেকে ঝাড়গ্রামে ওই ছাত্রীর বাসায় যায় এবং রাত যাপন করে ভোর রাতে আবারো বাড়ি ফিরে। দীর্ঘদিন থেকে আসাদুল ইসলাম ওই ছাত্রীর কাছে যাওয়া আসার বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে পড়ে।
গত ২৯ আগষ্ট রোববার রাতে আসাদুল ইসলাম আবারো ওই ছাত্রীর ঘরে ঢোকে। বিষয়টি এলাকার লোকজন জানতে পেরে রাতেই কলেজ ছাত্র আসাদুল ইসলামকে আটক করে।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের মধ্যে কৌতহলের সৃষ্টি হয়। ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় রাতে তাকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তার বড় ভাই পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে বাগমারা থানা পুলিশের সহযোগীতা চান।
পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তিনি ৯৯৯ কল করে তার ভাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
৯৯৯ ফোন পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং প্রেমিক জুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় ৩০ আগষ্ট সোমবার দুপুরে প্রেমিকার বাবা নিজেই বাদী হয়ে আসাদুল ইসলামকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আসাদুল ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করেন একং স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রেমের সর্ম্পক করতে করতে এক পর্যায়ে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে তোলে।
শারীরিক সর্ম্পক করতে গিয়েই কলেজ ছাত্র আসাদুল ইসলাম লোকজনের হাতে আটক হয়। ওই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আসাদুল ইসলামকে আসামী করে মামলা করেছেন। ওই মামলায় আসাদুল ইসলামকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়