শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২০
রাজশাহীর বাগমারায় বন্যার পানিতে প্রায় আট কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। তবে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে বলা হয়েছে, প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
বাগমারা উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত মাসে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। গত ১৬ জুলাই উপজেলার লাউবাড়িয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে কাচারীকোয়ালীপাড়া, দ্বীপপুর ও বড়বিহানালী ইউনিয়নের পূর্বনাককাটি, বিলসুতি ও লিকড়া বিলে পানি প্রবেশ করে। এসব বিলে এলাকার লোকজন বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে থাকেন।
মাছচাষি ও ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, বন্যার পানিতে বাগমারা উপজেলার পাঁচটি বিলের মাছ অন্যত্র চলে যায়। এ ছাড়া ওই সব এলাকার দেড় শতাধিক পুকুর ও দিঘিতে বন্যার পানি ঢুকে ভেসে যায় মাছ। বন্যায় এসব পুকুর, দিঘি ও বিলের (মৎস্য খামার) মাছ চলে যাওয়ায় মাছচাষিদের প্রায় আট কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দ্বীপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান জানান, তিনি তিনটি বিলে মাছ চাষ করেন। বন্যার পানিতে এসব বিলের প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার মাছ চলে গেছে। এসব এলাকার মৎস্যজীবী, চাষি ও ব্যবসায়ীরা মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত। মাছ ভেসে যাওয়ায় তাঁরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
দ্বীপপুরের মৎস্যচাষি সোহরাব হোসেন বলেন, তাঁর তিনটি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে তাঁর প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুকুর থেকে বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় এখনো নতুন করে মাছ চাষ করতে পারছেন না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ১২ জন চাষি বলেন, বন্যায় মাছ ভেসে যাওয়ার কারণে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মাছের পোনা, খাবার ও পুকুর ইজারা নেওয়ার টাকা বকেয়া রয়েছে। মাছ ভেসে যাওয়ায় এসব বকেয়া শোধ করা সম্ভব হবে না। এতে ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, বন্যায় উপজেলার ১৭৩টি পুকুর ও খামারের (বিল) ৩০০ মেট্রিক টন মাছ ও তিন মেট্রিক টন মাছের পোনা ভেসে গেছে। এতে ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বুধবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় উপজেলার মাছচাষি ও ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তাঁরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়