বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০
রাজশাহীর বাগমারায় টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে বাড়ি-ঘর ও নিম্নাঞ্চলের ফসল তলিয়ে গেছে। হঠাৎ বন্যার পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এছাড়া উজানের পানির তোড়ে উত্তর বাগমারার জুলাপাড়া হাট সংলগ্ন মরাঘাটি স্থানে বেড়িবাঁধ ধ্বসে উপজেলার ২০/২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক শত হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ। পানির গতিতে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন বাড়িঘর নিয়ে ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বাগমারায় গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে নদ-নদী, খাল-বিল পুকুর পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এছাড়া টানা বর্ষণের সাথে উজানের নওগাঁর মান্দা উপজেলার টেংরানামক স্থানে বাঁধ ভেঙে বন্যার ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এতে করে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে।
এছাড়া পানির স্রোতে দ্বীপপুর ইউনিয়নের জুলাপাড়ার মরাঘাটির নিকটের বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলার নরদাশ, বাসুপাড়া, কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। গ্রামের নিম্নাঞ্চলের ধান, পানবরজ, সবজিসহ চলতি ফসল তলিয়ে গেছে। শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। সবজি ও মরিজ ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়েন উদ্দিন, কালিকাপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক অহিদুল ইসলাম, অ.লীগ নেতা আব্দুল মজিদসহ অনেকে জানান, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মধ্য পানি প্রবেশ করেছে। এলাকার মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। অধিক ক্ষতি হয়েছে কালিকাপুর গ্রামের মাটির বাড়িগুলোর মধ্যে গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, রুবেল হক, আলাউদ্দিন, আলতাফ হোসেন, সেলিম উদ্দিন হাসেম আলী, আব্দুস শুকুর, কাইচানী ও লিটনের বাড়িসহ অর্ধশতাধিক বাড়ি পড়ে গেছে।
এদিকে পাউবোর মুল বাঁধে বন্যার পানিতে কানায় কানায় ভরে গেছে। বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ উপজেলার কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে বাঁধের দীর্ঘ অংশে পানি ছুঁই ছুঁই করছে দেখা যায়।
এদিকে হঠাৎ এলাকায় বন্যা হবার কারণে দ্বীপপুর, হাসানপুর, মোহনপুর, কাচারী কোয়ালিপাড়া, বিহানালীসহ প্রায় ২০/২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে চাষকৃত পুকুরের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। নষ্ট হয়ে পড়েছে উড়তি ফসল পাট, ধান, মরিজসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। উজানের পানি বাড়ায় স্থানীয় লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি আরও বেড়ে যাবে বলে স্থানীয় মহল শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বন্যাকবলীত এলাকায় পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চ মহলের সংগে কথা বলেছেন। পানি উন্নয়নসহ এলাকাবাসী বাঁধ রক্ষাতে চেষ্টা করছে। প্লাবিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়