বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২২
রাজশাহীর বাগমারায় বারোমাসি সজিনা চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন সৌখিন চাষি আমিনুল ইসলাম। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের নিজ গ্রাম রামরামায় দেড় একর জমিতে তিনি বিদেশি ওডিসি-৩ জাতের সজিনা চাষ করেছেন। গাছে গাছে ফুল আর সজিনা শোভা পাচ্ছে তার স্বপ্নের গড়া ক্ষেতে। অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর অতি পরিচিত সুস্বাদু সবজি সজিনা চাষ করে আর্থিকভাবে সফলতার মুখ দেখছেন আমিনুল হক।
আমিনুল হক জানান, কম খরচ ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় এমন সবজি খুঁজতে যেয়ে তিনি সজিনা চাষে উদ্বুদ্ধ হন। প্রথমে স্থানীয় জাতের ভাল চারা সংগ্রহ করেন। পরে জানতে পারেন বীজ থেকে সজিনার চারা পাওয়া যাবে। গুগলে সার্চ করে তিনি সজিনা চাষ সম্পর্কে খোঁজ নেন। ইউটিউব দেখে চাষের পদ্ধতি জেনে নেন। ভারতের তামিলনাড়– এলাকায় অধিক সজিনার চাষাবাদ করা হয় বলে তিনি জানতে পারেন।
পরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভারতের ওডিসি-৩ জাতের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর পদ্ধতি অনুযায়ী চারা বড় করে তিনি প্রায় তেরশ চারা রোপন করেন। এছাড়াও কাটিং করে আরো একশ চারা রোপন করেন। তার রোপন করা ছয় মাস বয়সী গাছে গাছে ফুলে ফুলে ভরে গেছে। অনেক গাছেই ইতোমধ্যে সজিনা বড় বড় হয়ে গেছে। গাছ থেকে সজিনা উত্তোলন আরম্ভ করেছেন।
খেতের সার্বিক পরিচর্যা বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বাগমারায় বাণিজ্যিকভাবে এধরনের চাষাবাদ কৃষকদের মাঝে উৎসাহ যোগাবে বলে অনেকেই মনে করছেন। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, পুষ্টি ও ওষুধি গুণাগুণের বিবেচনায় আদর্শ সবজি হলো সজিনা। বারোমাসি সজিনা গাছ সারা বছরই ফল দেয়।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বারোমাসি সজিনা চারা লাগোনোর ছয় মাস পর থেকেই ফল ধরবে এবং সারা বছর পাওয়া যাবে। সজিনার পাতা পুষ্টি গুণের আঁধার। শুকনো সজিনার পাতায় উচ্চ মাত্রায় পুষ্টি থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বারোমাসি সজিনার আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি সম্মন্ধে সজিনা চাষী আমিনুল হক কে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হয়। ব্যতিক্রমি এ উদ্যোগ গ্রহণ করে তিনি অধিক লাভবান হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন কৃষিবিদ রাজ্জাক। এছাড়াও বাণিজ্যিক ভাবে উপজেলার কৃষকরা এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হবেন বলেও তিনি মনে করেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়