বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২১
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মার চরে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের বাড়ি তল্লাশি করে আর্মির পোশাক ও ১২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনায় চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ও চৌমাদিয়া চরের রহমান আলী বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলো– পদ্মার চৌমাদিয়া চরের মৃত হাকিম বেপারির ছেলে আলাউদ্দিন (৪০), আবদুর রশিদের স্ত্রী রুবি বেগম (২৫), মৃত জলিল বেপারির ছেলে আসাদ (৪৫)।
জানা যায়, উপজেলার পদ্মার চরের মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চরের মজনু হোসেন দর্জি ও দিলা ইসলাম বেপারির জমির আগাছা পরিষ্কার করা কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এই বিরোধ কেন্দ্র করে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর চড়াও হয়।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চৌমাদিয়া চরের আদম আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩০), অলি ঢালীর ছেলে লিটন ঢালী (৩৫), শামসুল ইসলামের ছেলে দুলাল দর্জি (৩০), দিলু দর্জির স্ত্রী মরিয়ন বেগম (৩৫)।
এদিকে নুরুল ইসলামের ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), আলিম আলী দর্জির ছেলে ইয়ার আলী (৪৫), সেকেন্দার আলীর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন, দিলু দর্জির ছেলে মজনু দর্জি লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বাঘা থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে থানায় নেয়া হয়।
এ ছাড়া গ্রেফতারকৃতদের বাড়ি তল্লাশি করে এক সেট আর্মির পোশাক ও ১২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ও চৌমাদিয়া চরের রহমান আলী বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোলাইমান হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে ইদ্রিস আলী ছাড়া সবাইকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌমাদিয়া চরের স্থানীয় সোহেল রানা, সোলাইমান হোসেন, সুফিয়ান হোসেন জানান, মজনু হোসেন দর্জির কলা বাগানের সঙ্গে দিলা ইসলাম বেপারির জমি রয়েছে। সেই জমিতে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য দিলা ইসলাম বেপারি আগুন দেয়। সেই আগুনে মজনু দর্জির কলাবাগানের ক্ষতি হয়। এ বিষয়টি দিলা ইসলাম বেপারিকে জানাতে গেলে উল্টো মজনু দর্জিকে মারপিট করে।
এর জের ধরে উভয়পক্ষ বন্দুক, লাঠি, হাঁসুয়া, লোহার রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করে তাদের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে আর্মির মতো এক সেট পোশাক ও ১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়