শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২০
রাজশাহীর বাঘায় ফ্রিজে রেখে রুগ্ন-অসুস্থ গরুর পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বাঘা বাজারে মিলন হোসেন নামের এক মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া যায়। ক্রেতা ৪০ কেজি পঁচা মাংস ফেরত দিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার তেথুলিয়া মাউতপাড়া এলাকার খোরসেদ আলমের ছেলে পলাশ আহম্মেদ তার মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠানের জন্য শুক্রবার সকাল সাতটার সময় বাঘা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী উপজেলার গাঁওপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন এর নিকট থেকে ৪০ কেজি গরুর মাংস কিনেন।
তিনি ক্রয়কৃত মাংস বাড়িতে নিয়ে দেখেন, প্রায় ১৫ (পনের) কেজি পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত মাংস রয়েছে। তিনি তৎক্ষণাৎ ওই মাংস বিক্রেতাকে ফেরত দিতে যান।
এসময় ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বাঘা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী ও বাঘা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন ক্রেতাকে টাকা ফেরৎ দেয়ার মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে সমাধান করে দেন।
এ ঘটনায় মাংস ব্যবসায়ী মিলন বলেন, পঁচা বা নষ্ট মাংস ছিলনা। গত হাটে বেঁচে যাওয়া কিছু মাংস ফ্রিজে রাখা ছিল। সেই মাংস মিশ্রণ করায় ক্রেতা মাংস ফেরৎ দিয়েছে। আমি তাকে টাকা ফেরৎ দিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, কতিপয় মাংস ব্যবসায়ী প্রায়শই খাওয়ার অনুপোযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এসব মাংস বিক্রির জন্য অনেকেরই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসা বাড়িতে ফ্রিজ রয়েছে।
অভিযুক্ত মিলন পঁচা, নষ্ট ও খাওয়ার অনুপযোগী মানহীন মাংস বিক্রির অভিযোগে ইতিপূর্বে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা দিয়েছে। আজকেও বিষয়টি জানাজানি হলে ভয়ে অভিযুক্ত মিলন পঁচা ও নষ্ট মাংসগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলেন।
এ বিষয়ে বাঘা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান পরিদর্শনে যাই। সেখানে পঁচা বা নষ্ট মাংস না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে কেউ যেন খাওয়ার অনুপযোগী মাংস বিক্রয় না করে সে বিষয়ে সকল ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কোন অসাধু ব্যবসায়ী ফ্রিজিং মাংস যাতে বিক্রয় করতে না পারে সেটা তদারকির জন্য ইজারাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়