বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২১
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে শত শত পরিবার। তারা সহায়-সম্বল হারিয়ে অনেকে ভূমিহীন মানুষের কাতারে শামিল হয়েছে। প্রতিবছর নদী ভাঙনে এইসব ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। চরের মানুষ অন্যের জমিতে চুক্তিভিত্তিক আশ্রয় নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন এইসব ভূমিহীন পরিবার। দফায় দফা নদী ভাঙনে শত শত পরিবার অন্যের জমি লিজ নিয়ে বছর চুক্তি বাড়ি করে বসবাস করছে। তারা কোনও রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই নিলেও তাদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়।
শুধু বাসস্থান নয়, তাদের কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, স্যানিটেশন-কোনও ব্যবস্থাই ভালো নয়। কোনও রকম দিনমজুরি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্যের জমিতে আশ্রয় নেয়া (চুক্তি ভিত্তিক) ওইসব পরিবারের বাসস্থান বন্যার সময় তলিয়ে যায়।
পদ্মার মধ্যে কালিদাসখালী চরে ভাড়া নিয়ে আশ্রয় নেয়া রেজাউল ইসলাম কেন্দু প্রামানিক, আতর আলী, মাজেদ আলীসহ কয়েকজন জানান, ১৫ থেকে ১৬ বছর যাবৎ, বছর ভিক্তিক চুক্তি নিয়ে অন্যের জমিতে বাড়ি করে আছি। এতে ঠিকমতো সংসার চলে না।
এছাড়া চুক্তিভিত্তিক জায়গায় বাড়ি-ঘরে মাটি কাটতে পারি না। তাই বন্যার সময় বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায়। এতে জীবনযাপন অনেক কষ্টকর। সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা তেমন পায়না।
পদ্মার চরের মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, পরিষদ থেকে যতুটুকু বরাদ্দ হয়, সেগুলো নিরীহদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়। তবে অনেকেই জমি বন্দক নিয়ে বসবাস করছে।
বিভিন্ন মৌজায় নদী ভাঙনে মানুষ কারও আঙিনা কিংবা বন্ধকি জমিতে বাড়ি করে আছেন। উপজেলার সাহায্যে তাদের সমস্যা সমাধান হয় না। তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়