বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২১
রাজশাহীর বাঘায় প্রায় ৫ শ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ঐতিহাসিক ঈদ মেলা। এ মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে হরেক রকম (পসরা) পণ্য নিয়ে আসত ব্যবসায়ীরা। এদের মধ্যে থাকতো প্রায় শতাধিক মিষ্টির দোকান। কিন্তু গত বছর থেকে মহামারি করোনা সঙ্কটের কারণে বন্ধ রয়েছে এই মেলা।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ীরা এখন ২ শ টাকা দামের মিষ্টি বিক্রি করছে ৩৫০ থেকে ৪ শ টাকা। এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাসহ-উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ মহল।
স্থানীয় লোকজন জানান, এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঈদের সময় মিষ্টি হাতে করে আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার প্রচলন দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে ঈদ মেলা থেকে মিষ্টি কিনে জামাই-তার শশুর বাড়ি যাচ্ছে এমন দৃশ্য প্রতিয়মান। যার ব্যত্যয় ঘটেনি এবারও।
তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রমণের কারণে গত বছর থেকে এখানে ঈদ মেলা বন্ধ রয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিষ্টির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।
বাঘার আমোদপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) এক মাস সিয়াম সাধনের পর সকালে মিষ্টি মুখ করে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যেতেন। সেই সূত্র ধরে বাবা প্রতি ঈদের-আগের দিন ইফতার করে মেলা থেকে হরেক রকম মিষ্টি বাড়িতে নিয়ে আসতেন। আর আমরা কয়েক ভাই ঈদের দিন সকালে বাবার সাথে মিষ্টি-লুচি খেয়ে ঈদগাহে যেতাম।
তিনি বলেন, এ রেওয়াজ এখনও প্রচলিত আছে। তবে পর-পর দুই বছর এখানে ঈদ মেলা না হওয়ায় স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সকল প্রকার মিষ্টির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। যা দেখেও না দেখার ভান করছেন স্থানীয় প্রশাসন।
মিষ্টির দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে উপজেলা সদরে অবস্থিত গৌর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সাথে কথা বললে তারা বলেন, সবাই দাম বাড়িয়েছে, তাই আমরাও বাড়িয়েছি।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, ঈদ উপলক্ষে হঠাৎ করে মিষ্টির দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। অথচ-চিনি, দুধ এবং আটার দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি জনস্বার্থে বিষয়টি দেখভালের জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং গনমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়