বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১ মে ২০২২
লতিরাজ মূলত বারি পানিকচু-১। উচ্চফলনশীল এ কচু অন্য সব পানিকচুর চেয়ে বেশি ফলন দেয়। সুস্বাদু এই জাতের লতি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে উৎপাদন বাড়াতে কচুর প্রথম লতি যখন এক বিঘত পরিমাণ হলে কেটে দিতে হবে। এতে পার্শ্ব কুশি অর্থাৎ লতি উৎপাদন ২-৩ গুণ বেড়ে যায়। লতিরাজ কচু চাষে বালাইনাশকের ব্যবহার খুবই কম হয়, তাই এ কচু নিরাপদ।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের কৃষক মো. সেন্টু মিয়া কৃষি অফিসের ট্রেনিং থেকে এই লতি কচু সম্পর্কে জানতে পারেন। পরে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করলে উপজেলা কৃষি অফিস তাঁকে ২৫ শতকের একটি প্রদর্শনী দেয়। পরে আরও ১৫ শতকে নিজ উদ্যোগে লতি কচু চাষ করেন। এ বছর কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো লতিরাজ কচু চাষ করে তিনি স্বপ্নপূরণের আশা করছেন।
কৃষক মো. সেন্টু মিয়া জানান, ‘লাগানোর মাত্র দুই মাসের মধ্যেই লতি নামতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে লতি তুলতে শুরু করেছেন। প্রথমে লতি তুলে তিনি নিজের আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করেন।’ তিনি আশা করছেন, প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকার লতি, শলা (কন্দ), ডাগর (ডগা) ও ফুল বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, ‘ধান আবাদ করে এক বিঘা জমিতে যেখানে ৮-১০ হাজার টাকা লাভ হয়, সেখানে একই জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করে ৪০-৫০ হাজার টাকা আবাদ করা সম্ভব।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, উপজেলার মনিগ্রাম ছাড়াও বাউসা, পাকুরিয়া, বাজুবাঘা ইউনিয়নে প্রায় ১০ টির মতো প্রদর্শনী হচ্ছে। এ বছর প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে লতি কচু চাষ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলা মূলত আমের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এ উপজেলায় শুধু আম নয়, আরও অন্য ফসল হয়। কৃষিতে বৈচিত্র্যতা আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতার লক্ষ্যে উচ্চফলনশীল লাভজনক ফসল লতিরাজ কচুর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নতুন নতুন ফসল সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়