শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২০
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামে পাশাপাশি তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে নির্মাণ করা হয়েছে পৃথক দু’টি ইটভাটা। ভাটার ধুলো আর ধোঁয়ার মধ্যেই চলে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া, পড়াশোনা আর খেলাধুলা। কৃষি জমিতে এই দুই ইটভাটা নির্মাণের কারণে তৈরি হয়েছে এক ভয়াবহ পরিবেশ। তাছাড়া এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকারী ফসল আমেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে নানা অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী। আর এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
অভিযোগে জানা যায়, গত তিনি থেকে চার বছর আগে বাঘা-আড়ানী সড়কের মাঝে তেপুকুরিয়া গ্রামে আব্দুল মান্নান ও আলাউদ্দিন পাকা রাস্তার দুই পাশে কৃষি জমিতে পৃথক দুটি ইটভাটা নির্মাণ করেন। এর একটির নাম ‘বাটা ব্রিক্স লি.’। যাকে স্থানীয় ভাষায় চিপনী ভাটা বলা হয়। এর পরিচালক বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মান্নান। অপরটির অবস্থান রাস্তার পশ্চিম পাশে। এই ইটভাটাটির নাম ‘চাইনা অটো ভাটা’। এটির পরিচালক আলাউদ্দিন। বর্তমানে তিনি ২০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ খেলাপি মামলায় হাজতে অবস্থান করছেন।
তেপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সাইদ বৃটেন জানান, পাশাপাশি দু’টা ইটভাটা থেকে মাত্র পাঁচশ গজের মধ্যে মাধ্যমিক, ভকেশনাল ও প্রাথমিক মিলে তিনটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে ভাটার কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা নিয়মিত স্কুলে আসছে না।
এই বিষয়ে চাইনা অটো ভাটার ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভাটার মালিক ব্যাংক ঋণের মামলায় হাজতে রয়েছেন। গ্রামবাসীরা যে অভিযোগ করেছেন তা পুরোটা সত্য নয়। ভাটার কারণে পাকা রাস্তার কিছুটা ক্ষতি হলেও পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
অপর ভাটা মালিক আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন সময় তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, এই বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়