শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি সমর্থকরা বিশ্বাস করত আওয়ামী লীগ আর জীবনেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ১৯৯৬ সালে বিএনপি লংকাকান্ড করেও আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ করতে পারে নি।বিএনপি সমর্থকরা একাধারে মারাত্নক বিস্মিত ও ইর্ষান্বিত হলেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর মাত্র দুই মাসের মাথায় দেশে বড় একটি অঘটন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড। নিঃসন্দেহে সদ্য ক্ষমতায় আসা আ’লীগ দলকে ধূলিসাৎ করার অপচেষ্টা ছিলো, এই পিলখানা ট্যাজেডি।
২০০৯ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বারবার অস্বীকার করে বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাদের কোন যোগসাজশ নেই। অথচ ওইদিন বিএনপির হাইকমান্ডের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় তৎকালীন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সাংসদ নাসিরুদ্দিন পিন্টু এই ঘটনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি চক্রের মিথ্যাচারের বিষয়ে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বিএনপি বরাবরই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারকে দোষারোপ করে থাকে। বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে অপপ্রচার তারই নামান্তর।
জানা যায়, পিলখানার হত্যাকাণ্ডের সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি-জামায়াতের একাধিক সিনিয়র নেতাকর্মী। পরে তাদের কৃতকর্ম ঢাকতে ও কৌশলে দায় এড়াতে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে। কিন্তু বর্তমান সরকারের স্বচ্ছ আইনি পদক্ষেপ ও সচেতন মহলের তৎপরতায় তা ভেস্তে যায়। বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।
এছাড়া বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকার আরো একটি বড় প্রমাণ হচ্ছে, নারকীয় সেই হত্যাযজ্ঞের খুব সকালে হঠাৎ করে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থাকে পালিয়ে যান খালেদা জিয়া।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে ২০০১ এ বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে সম্পূর্ণ নেতিবাচক রাজনীতি দিয়ে। দেশের উন্নয়নের কোন এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে নি:শ্বেষ করার জন্য।
২০০৪ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য রমনার বটমূলে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। সেদিন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও অসংখ্য নেতাকর্মী নিহত হয়েছিলো। গ্রেনেড হামলার মামলা বিচারাধীন থাকলেও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচারকার্য শেষ হয়েছে।
২০০৯ সালের বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনায় আদালত বিদ্রোহী জওয়ানদের মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আইনের শাসন অমান্য করে, ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেন বিএনপিপন্থী বিডিআর জাওয়ানেরা।
যাদের মধ্যে ডিএডি তৌহিদ, বিদ্রোহী সিপাহী মাঈন, সুবেদার মেজর গোফরান মল্লিকসহ যারা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত, তাদের প্রায় সকলেই বিএনপি আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত।
এছাড়া টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ জন বিডিআর সদস্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর সুপারিশে চাকরি পেয়েছিল।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়