শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২১
রাজশাহীর দুর্গাপুরে গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে স্কুল কলেজ গুলোতে হাঁটুপানি দেখা দিয়েছে। কৃষি জমি নষ্ট করে এবার উপজেলার অপরিকল্পিত ভাবে অসংখ্য পুকুর খনন হয়েছে।
ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায় যাচ্ছে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করে অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিন দেখা গেছে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় কলেজে এখন হাঁটুপানি। কলেজ মাঠে পাটজাগ দিচ্ছেন চাষিরা।
গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো কলেজ মাঠে হাঁটুপানি দেখা দিয়েছে। পাশে ডাহার বিলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে অপরিকল্পিত পুকুর খনন হয়েছে। ফলে গত দুই তিন বছরধরে কলেজ মাঠে এমন জলাবদ্ধার সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, দেবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শ্যামপুর বিএম কলেজ, আলীপুর মডেল কলেজ, গোপালপুর বিএম কলেজ, মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাঙাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়ামাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাঠে পানি দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, জমির শ্রেণি বদল করে গত কয়েক বছর ধরেই চলছে পুকুর খনন। ডাহার বিলে অসংখ্য অপকল্পিত পুকুর খনন হয়েছে। এতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখা হয় নি। এ কারণে অল্প বৃষ্টিতেই দেবীপুর বিএম কলেজ মাঠে পানি দেখা দেয়। বর্তমানে কলেজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় নি।
পালশা গ্রামের ইসলাম জানান, অপরিকল্পিত পুকুর খনন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই রাস্তা-ঘাট ও কখনো বাড়িতে হাঁটু পানি, জমে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। র্দীঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি পোহালেও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সমস্যাটির পদক্ষেপই নেয় না।
দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ফিরোজ বলেন, আগে মাঠে পানি জমতো না। পুকুর খননের ফলে এ দশা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে দুই তিন বছর থেকে কলেজ মাঠে পানি জমছে। কলেজ খোলা থাকলে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ডাহার বিলের মুখ বন্ধ হওয়ায় পানি নামতে পারে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা এসব ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দেখবেন। তাছাড়া এখন স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে। তেমন কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধা বলেন, এ উপজেলায় বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতবছরও স্থানীয়দের নিয়ে প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়