শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ছোট শহর রাজশাহী। এ শহরে দর্শনীয় অনেক স্থান রয়েছে। স্থানগুলোর মধ্যে পদ্মার বিভিন্ন বাঁধ অন্যতম। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এই পদ্মার বাঁধ দেখতে ঘুরতে আসেন। এরকই একটি পদ্মার বাঁধ বিজিবি, মুক্তমঞ্চ।
এই বিজিবি, মুক্তমঞ্চ নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি এখানে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন চায়ের স্টল, ভাজা, আচার, ফুচকা-চটপটির দোকানসহ ভিন্ন ভিন্ন দোকানের সমারোহ। জায়গাটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়তই গ্রহণ করা হচ্ছে নানারকমের পদক্ষেপ। একটা সময় ছিলো পদ্মা পাড়ে গরু-ছাগলের বিষ্ঠা পড়ে থাকতো। মানুষ হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না।
কিন্তু বর্তমানে নগরীর সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীকে গ্রিন এবং ক্লিন সিটি হিসেবে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
চেষ্টা করে যাচ্ছেন রাজশাহীর কৃতি সন্তান খালেদ মাসুদ পাইলট।তার বড় পরিচয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। সাবেক এই ক্রিকেটার বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনের অন্যতম নক্ষত্র। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম এই উইকেট রক্ষক সেই অঙ্গন থেকে ব্যাট ও প্যাড গুছিয়েছেন অনেক আগেই। এবার গ্রীণ ও ক্লিন সিটি নামে খ্যাত রাজশাহীকে পর্যটন নগরী হিসেবে একধাপ এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তার খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজ উদ্দ্যোগে এই শহরকে ট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত করে তোলার পথে পা বাড়িয়েছেন তিনি। মুক্তমঞ্চের পাশে থাকা একটি সাদা রঙের দোতালা ভবন। যা একসময় হোয়াইট হাউজ নামে পরিচিত ছিল পরে তা রেস্টুরেন্টে পরিণত করেন তিনি। নোঙর নামে পরিচিত পেয়েছে রেস্টুরেন্টটি। সেখানে ইনডোর সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে একটি বড় আউটডোর অংশের ব্যবস্থা। এছাড়াও শিশুদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে বিশাল উন্মুক্ত স্থান। যেখানে অনায়াসেই পরিবার-পরিজন নিয়ে সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে পদ্মার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। নোঙরের ইনডোর ডেকোরেশন ব্যবহার করা হয়েছে দেশীয় ঐতিহ্যের বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে।
পশ্চিম দিগন্তে সূর্য হেলে পড়ার পর ঝিরঝির বাতাসে দর্শণার্থীদের জন্য সুন্দর একটা আবহ তৈরি নোঙরের আয়োজন। বিকেলথেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নোঙরে ক্রেতা সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। পদ্মার শান্ত জলের পাশে এমন একটিরেস্টুরেন্ট ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাজশাহীবাসীর কাছে।
এছাড়াও আশেপাশের রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার, আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থান গঠনসহ আরো বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছেন রাজশাহীর এই কৃতি সন্তান। ফলে পদ্মার পাড়ে সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভ্রমণ পীপাসুরা সুন্দর পরিবেশ পাচ্ছে নদীর পাড়ে এসে। পরিবার পরিজন,বন্ধু-বান্ধবসহ এসে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি ভালো রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থা পেয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকেই রেন্টুরেন্ট ব্যবসায় অনেক আগেই এসেছেন। তবে তাদের কারো দেখে আমি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হইনি। এই ব্যবসা কর্মাশিয়াল জায়গা থেকেও করিনি। আমি রাজশাহীতে বড় হয়েছি। রাজশাহীতে খেলাধুলা শুরু করেছি। আমাদের থেকে মানুষ ভালো কিছু আশা করেন।”
আরও বলেন, ‘‘আমার আগে থেকেই একটা ইচ্ছা ছিল রাজশাহীতে নদীর পাড়ে এমন একটা জায়গা গড়ে তুলবো। যেখানে প্রচুর সবুজ গাছ থাকবে। মুক্ত বাতাসের মধ্যে বসে ভ্রমণ পিপাসুরা স্নিগ্ধতা নেবেন। আমি যেহেতু একজন খেলোয়াড়, একটু বেশি খোলামেলা জায়গা পছন্দ করি। শহুরে জীবনের মানুষও একটু খোলামেলা জায়গা চান।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যেখানে প্রকৃতির অবাধ সৌন্দর্য্য থাকবে। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই নোঙরকে সাজানো হয়েছে। ইনডোর, আউটডোরে খোলামেলা সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে সারাদিনের কাজকর্ম শেষে মানুষ যেন একটি সুন্দর পরিবেশে বসে অন্তত এক কাপ কফি খেতে পারেন। সেই ব্যবস্থাটাই আমরা করতে চেয়েছি। কতটুকু সফল হতে পেরেছি জানিনা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়