শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২০
উপযুক্ত পারিশ্রমিক না দিলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে কোন সাহায্যই করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেছেন, আমার পরিশ্রমের মূল্য আছে। তাই পণ্ডশ্রম করতে চাই না। কারণ, তাবিথের ইশতেহার তৈরিতে আমাকে সময় ব্যয় করতে হবে, সঙ্গে মেধাও। কিন্তু তিনি আমাকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেবেন না বলে জানতে পেরেছি। যদিও প্রথমে বলেছিলেন আপনাকে সম্মানী দেবেন তাবিথ। কিন্তু তার আচার-আচরণ ‘সুবিধাজনক’ না হওয়ায় আমি তাবিথের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি না করে দেয়ার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।
মওদুদের এমন আচরণে দারুণ ক্ষুব্ধ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, তাবিথ শুধু আমার ছেলে নয়-দলের নেতাও। তাহলে কেন ইশতেহার তৈরিতে মওদুদ আহমেদ রাজনৈতিক বিবেচনা না করে বাণিজ্যিক বিবেচনা করলেন? তাহলে কী তিনি চান না তাবিথ মেয়র হোক?
মিন্টু বলেন, যেখানে খোদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই তাবিথকে নির্বাচনের টিকেট দিয়েছেন, সেখানে মওদুদের এত অর্ন্তজ্বালার মানে কী? তার এমন আচরণ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। করেছে ব্যথিতও।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল অনুষ্ঠেয় উত্তর সিটি নির্বাচনের ইশতেহার তৈরির জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের শরণাপন্ন হন। সে সময় তিনি মওদুদকে মোটা অংকের পারিশ্রমিকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু পরে নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তাবিথের উপর অনাস্থা রেখে নিভৃতে দূরে সরে যান মওদুদ।
বিএনপির এই মেয়রপ্রার্থীর ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, তাবিথ রাজনৈতিকভাবে অপরিপক্ব হওয়ায় তিনি নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অজ্ঞ। এজন্য উচিৎ ছিল দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের তার পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। উল্টো টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতাদের। তারা ঠোঁট বাঁকিয়ে বলছেন, তাবিথকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। কিন্তু তারা সাহায্যও করছেন না। এ থেকে প্রমাণিত হয়, তারাই আসলে চান না নতুন কেউ নেতৃত্বে আসুক।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যেখানে দলের অভ্যন্তরেই এমন হিংসাপরায়ণ অবস্থা বিরাজমান, সে দলের শুধু নির্বাচন কেন- কোন কিছুতেই জয়ের সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া তাবিথের পুরো পরিবার অর্থ কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই তার উপর জনগণের আস্থাও নেই বিন্দুমাত্র। সব মিলিয়ে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বিএনপি। একইসঙ্গে পড়েছে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে। যেটা একটা রাজনৈতিক দলের জন্য অ্যালার্মিং ইস্যু।
রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা আরো বলছেন, বিএনপি তাদের অতীত-কর্মের ফল এখন ভোগ করছে। এ কারণে তাদের দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরির মামলায় কারা জীবন যাপন করছেন। দুর্নীতির দায়ে দেশছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যাদের সাংগঠনিক বৃত্তেই এমন গলদ, তাদের জনসমর্থন না থাকাটা অস্বাভাবিক নয় বরং স্বাভাবিক ও সমীচীন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়