বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর হচ্ছে শনিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে। ইতোমধ্যেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা। আরও পৌঁছেছেন ঢাকার সিভিল সার্জন এবং জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও। কারাগারের বাইরে ৩টি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।
শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সিভিল সার্জন পৌঁছেন কারাগারে। এরপর ১০টা ৪৭ মিনিটে পৌঁছেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে রাত ১০টা ৫২ মিনিটে কারাগারে গিয়ে পৌঁছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা।
এদিকে, জানা গেছে, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। জ্বলছে আলো। কারা ফটকে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। অতিরিক্ত পুলিশ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এখানে। রয়েছেন কারারক্ষীরাও।
রাতে কারা মহাপরিদর্শক মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি রাত ১২টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হবে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিগত দুই দশক পালিয়ে ভারত গিয়েছিলেন আবদুল মাজেদ। গত মার্চের মাঝামাঝি সময় তিনি ঢাকায় আসেন। পরে সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৪ বছর ৭ মাস ২১ দিন পর গ্রেপ্তার হন তিনি। সবশেষ শুক্রবার স্ত্রীসহ পাঁচজন কারাগারে মাজেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ফাঁসির আগে প্রত্যেক আসামিকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়।
গত বুধবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ওইদিন বিকেলে মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে এ আবেদন করেন। কারা কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিকেলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে বঙ্গভবনে পৌঁছানো হয়। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি বঙ্গভবনে পৌঁছার পরপরই তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। এটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে বাধা থাকছে না।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন পাঁচজন। পলাতক আসামিরারা হলেন- খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন দেশে পলাতক পালিয়ে আছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম বর্বরোচিত ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন এই মাজেদ। তখন তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র কর্মকর্তা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়