মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২১
প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভালো দামে পশু বিক্রির আশায় থাকেন খামারিরা। তবে এ বছরে করোনার ভয়াভহ ও লকডাউন দেওয়ায় কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে চিন্তিত মোহনপুুরের কৃষকরা। যদি কুরবানির হাট না বসে অথবা সঠিক মূল্য না পেলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন।
তাই আতঙ্কে রয়েছেন মোহনপুরের পশু খামারিরা। দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদিপশু মোটাতাজা করেন খামারিরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের এসব গরু বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন তারা। গত বছর কোরবানির ঈদে জেলার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ হাজার গরু ও ছাগল বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেছেন মোহনপুুর খামারিরা ।
এই ঈদকে সামনে রেখেই খামারিরা সারাবছর কোরবানির পশু হিসেবে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া লালন পালনে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করেন। তাই ঈদে পশু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে তাদের। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, মোহনপুরের ৬টি ইউনয়নে প্রায় ১ হাজার গরু-ছাগলের খামার রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এবছর এসব খামারে প্রায় ২ হাজার গরু ও ২ হাজার ছাগল এবং ১ হাজার ভেড়াসহ অন্যান্য পশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে।
ময়ার মোড়ের সাইদুর নামে এক খামারি বলেন, আমার ১৮ টি গরু কুরবানির হাটে বিক্রি করবো বলে লালন পালন করছি কিন্তু কোরবানির হাট না জমলে বা কম হলে পশু বিক্রি কমে গিয়ে লাভের চেয়ে লোকসানের বোঝা ভারি হবে ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গবাদিপশু মোটাতাজা করা ও প্রতিটি খামারির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়