বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১
অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে ছাতার ব্যবহার বেড়ে যায়। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বৃষ্টির কারণে রাজশাহীর মোহনপুরে ছাতা মেরামত করতে লোকজনের ভিড় বেড়েছে।
আজ শনিবার মোহনপুর উপজেলার সদর মোহনপুর বাজার, কেশরহাট, একদিলতলা, পাকুড়িয়াসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে। তাঁরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে পুরাতন ছাতা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। অন্যান্য কারিগররা বসে অলস সময় পার করলেও ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা মেরামত কারিগররা।
মোহনপুর উপজেলার বাদেজুল গ্রামের ছাতার কারিগর স্বপন জানান, প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর ধরে তিনি এ পেশায় জড়িত। তিনি বর্ষা মৌসুমে মেরামত করেন।
অন্য সময় তালা-চাবি মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কাজ থাকলে দৈনিক ১৫ থেকে ২০টি ছাতা মেরামত সম্ভম। এতে আয় হবে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। তবে করোনার কারণে এবার একটু কাজ কম হচ্ছে।
ছাতার কারিগর বিমূল কুমার বলেন, ‘আমি এ পেশায় ২৮ বছর ধরে আছি। বছরের এ সময়ে আয় বেশি হয়। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগারও কম হচ্ছে। সারা বছর বিভিন্ন হাট-বাজারে আমি এ পেশার পাশা-পাশি তালা-চাবি মেরামত করে থাকি।’
ছাতা মেরামত করতে আসা আফছার আলী বলেন, ‘আমার বাড়ি উপজেলার বরইকুড়ি গ্রামে। আমি একজন কৃষক। আমি বর্ষাকালে বিলে মাছ ধরি। করোনার কারণে বর্তমানে আয় কম। আমার এখন নতুন ছাতা কেনা সম্ভব না। তাই ঘরে থাকা পুরোনো ছাতা মেরামত করার জন্য মোহনপুর থানার মোড়ে নিয়ে এসেছি।’করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাতা মেরামতের কাজ কম হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়