শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২১
রাজশাহীর কৃষি অধ্যুষিত উপজেলা মোহনপুর। বহুমাত্রিক ফসলের সমাহারÑএই উপজেলা। মাত্র (০০০) আয়নের ছোট উপজেলার একটি অর্থকরি ফসল পান। প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি পানের চাষ হয়ে থাকে। এই পানচাষ অনেকের আদি পেশা। দীর্ঘকাল ধরে মানুষ বরজের চালায় ব্যবহার করত ধানের খড়সহ নানা ধরনের ঝোপঝাড়। এখন পাটকাঠি ও বনকাশিয়ায় জমে উঠেছে বৃহৎ হাট।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সইপাড়া হাঠেজিয়া মাদ্রাসা ময়দানসহ অন্তত ১০টি স্থানে জমজমাট চলছে এই বনকাশিয়ার হাট। ব্যবসায়ীদের ধারণা প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাটকাঠি ও বনকাশিয়া বিক্রি হয়ে থাকে।
মোহনপুরে এসবের উৎপাদন নেই বলে উত্তরে জেলা রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাসহ রাজশাহীর পদ্মানদীচর হতে পাইকাররা আমদানি করে থাকেন। পাটকাঠি রাজশাহী একালায় পাওয়া গেলেও নাটোর ও পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আমদানি করা হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার সইপাড়া গ্রামের কাশিয়া বিক্রেতা আফছার আলী জানান, প্রতিবছর শীতকালে পান বরজের চালা ছেয়ে দিতে হয়। এজন্য শিনট ও কাশিয়ার খুব প্রয়োজন হয়। আমরা মৌসুম শুরুর আগে হতে বিভিন্ন জেলার চর এলাকা হতে এসব কিনে মোহনপুরের হাটবাজারে বিক্রি করে থাকি। প্রতি আটি সিনট বিক্রি হয় ৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। রকম ভেদে প্রতি আটি কাশিয়া বিক্রি হয় ১৫ টাকা আটি থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে এসব কেনাবেঁচায় খাজনা দিতে হয় না।
বিষহারা গ্রামের ব্যবসায়ী এসাহাক আলী এসা বলেন, আমি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে পান বরজের ব্যবহৃত ওয়াশি, লগর, কাশিয়া এবং সিঙ্গটের ব্যবসা করে থাকি।
প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি টাকার কেনাবেচা করে থাকি। নীলফামারি এবং লালমনিরহাট জেলা থেকে কাশিয়া এনে এখানে বিক্রি করি। প্রতিদিনের জন্য আমার প্রায় ৫ জন করে লেবার কাজ করে থাকে। এতে আমারও সংসার চলে, লোবারদেরও সংসার চলে।
পানচাষি হরিদাগাছি গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর শীতকালে বরজের ছাউনি দেয়ার জন্য কাশিয়া, সিনট, উলা কিনতে হয়। এজন্য তার ৩০ হাজার টাকা করে লাগে।
উপজেলা কৃষি অফিসার রহিমা খাতুন বলেন, মোহনপুর পানবরজ অধ্যুষিত এলাকা। এখানে পান বরজের জন্য ব্যবহৃত কাশিয়া, উলা, বাঁশ ও পাটখাঠিসহ প্রয়োজনীয় পরিমাণ উৎপাদন হয়না এজন্য ব্যবসায়ীরা দূর দুরান্ত হতে এসব আমদানি করে সরবরাহ করে থাকে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়