শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২
রাজশাহীর মোহনপুরে ব্যস্ততম বাজারে বিনা বেতনে দীর্ঘদিন যাবত ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন হতদরিদ্র মো. আলমাস (২৫) নামের এক যুবক। সে অত্র উপজেলার ভীমনগর গ্রামের সমতুল্লার ছেলে।
সে দির্ঘদিন থেকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর বাজারের যানজট ও দুর্ঘটনা নিরসনকল্পে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং অনেক ব্যস্ততম মোহনপুর উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন মহাসড়কের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বাকশিমইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্র ছাত্রীদের সকাল ৭টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিরামবিহীন একনিষ্ঠা ভাবে আলমাস সেচ্ছায় ট্রাফিক সেবা প্রদান করে চলেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাটারি চালিত গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং রাজশাহী নওগাঁ মহাসড়ক প্রসশ্ত করণ হওয়ায়, স্কুল কলেজগ্রামী ছেলে মেয়েদের রাস্তা পারাপারের চরম ঝুকিঁ মধ্যে পড়তে হতো। প্রতিনিয়তই যানজট লেগেই থাকে। এ অবস্থায় ছোট বাচ্চারা যাতে ভাল ভাবে বাড়িতে ফিরতে পারেন সর্বদা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন এই সেচ্ছাসেবী ট্রাফিক।
সেচ্ছাসেবী ট্রাফিক আলমাস বলেন, আমি প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫-৬ টা পর্যন্ত এখানে কাজ করি। বিনা পয়সায় সেচ্ছাসেবী ট্রাফিকের কাজ করে থাকি। বিনিময়ে তেমন কোন অর্থ পাই না। তবে ঈদে ইউএনও স্যারসহ অনেকে আমার কাজে খুশি হয়ে বোনাস দিয়েছে। তবে আমাকে যদি মাসিক ভাবে কেউ সাহায্য করে তবে আমি খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেন বলেন, তিনি কিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন আমি তা জানিনা, তবে অনেক ভালো কাজ করছেন আসলাম। তাকে কিভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়