বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২১
গ্রামের নাম আমগাছি। গ্রামটি রায়ঘাটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। এক নজর দেখলেই বুঝা যায় অবহেলিত একটি গ্রাম। যেখানে রয়েছে অনেকটায় নির্ভেজাল সাদাসিধে মানুষের বসবাস। জীবন জীবিকার উৎস থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য নেই একটি রাস্তা।
হাঁটুজল কাদা মাটি মাড়িয়ে চলাচল করে এ মানুষ। এখনো তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন হয়নি। একটি রাস্তার জন্যই অনেকটাই নিরুপায় বলে মনে করেন গ্রামের সর্বসাধারণ।
সরেজমিন গতকাল বুধবার (২ জুন) দুপুরে রাজশাহীর মোহনপুরের রায়ঘাটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আমগাছি গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, ১৭৫ পরিবারের এ গ্রামের জনসাধারণের প্রধান একটি সমস্যা পাকা রাস্তার অভাব। জনবসতির জন্য নির্মিত বসতবাড়ি থেকে প্রায় ৫ থেকে ৬ ফিট নিচু রাস্তা। এটিই গ্রামের মানুষ চলাচলসহ মাঠের ফসল তোলার একমাত্র রাস্তা।
বর্ষাকালে রাস্তাটি পুরোটায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ার কারণে সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট করে দিয়েছেন ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক।
তিনি রাস্তাসহ আরো উন্নয়ন নিজ উদ্যোগে এগিয়ে নিয়েছেন বলে জানান গ্রামবাসী। এখন জরূরি ভিত্তিতে ভরাটকৃত কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণ করা না হলে আগের বেহাল দশায় পড়তে হবে সর্বসাধারণকে।
গ্রামের মকসেদ আলী নামে একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, আমগাছি গ্রামটি অবহেলিত গ্রাম। এ গ্রামে গরিব মানুষের বসবাস। রাস্তাঘাট নাই। মানুষের দুর্ভোগের কারণে ওয়ার্ডের মেম্বার মোজাম্মেল হক নিজের টাকায় রাস্তাটি মাটি ভরাট করে দিয়েছেন। এখন পাকা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা চাই দ্রƒত রাস্তাটি পাকাকরণ করা হোক।
কথা হয় ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন আমগাছি গ্রাম একটি গরিব এবং অবেহেলিত গ্রাম। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আমি প্রথমবারের মত আট নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আগে থেকেই দেখেছি মানুষের দুর্ভোগ। এ গ্রামের মানুষ ভালবাসা দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এজন্য জনসাধারণকে সাথে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তায় মাটি ভরাট করেছি।
কিন্তু বর্ষাকালে এসব কাদামাটি কেটে চলে যাবে। আবারো গভীর নিচে চলে যাবে রাস্তা। আমার দেখা মাননীয় এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে পাশের গ্রামগুলোর রাস্তাটে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এজন্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ এমপি মহোদয়ের কাছে দাবি রাস্তাটি পাকাকরণ করে গ্রামবাসীর চলাচলযোগ্য করে দেন।
জানতে চাইলে রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খরিলুর রহমান বলেন, আমগাছি গ্রামের ওই রাস্তাটিতে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল মাটি ফেলেছেন। এখন মানুষ চলাচল করছে। সরকারি বরাদ্দ বন্ধ আছে। এমপি মহোদয়ের বরাদ্দ ছাড়া কাজ করা সম্ভব না।
এছাড়াও চেয়ারম্যান হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ। আগামি নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমগাছি গ্রামের ওই রাস্তাটিতে প্রথম কাজ করা হবে বলে প্রতিশ্রƒতি দেন তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়