শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২১
বিজ্ঞান বা আধুনিকতা যেমন আমাদের সুযোগ দিচ্ছে তেমনি জীবনে ঝুঁকিরও সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সবসময় চেষ্টা ছিল এই আধুনিক জগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এই বিশেষ বাহিনী (এসএসএফ) সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হবে এবং তাদের দক্ষতাও সবসময় বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য দেশ বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ নানারকম সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে এসএসএফ-এর ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তার কার্যালয়ে (পিএমও) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভূরাজনীতি যেমন পরিবর্তনশীল তেমনি অপরাধ জগতটাও পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সুযোগ করে দিচ্ছে, জীবনকে গতিশীল করার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রকেও বিস্তৃত করছে। একইভাবে অপরাধী তথা জঙ্গিদেরও সুযোগ করে দিচ্ছে। কাজেই আমার সবসময় চেষ্টা ছিল এই আধুনিক জগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বা তাদের পরিবারবর্গই শুধু নন, বিদেশি অতিথিরা এলে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে এসএসএফ-এর একটি বিরাট ভূমিকা থাকে। আর এটি একটি কঠিন দায়িত্ব।
সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য এসএসএফ-এর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যখনই যিনি এসেছেন আমাদের এসএসএফ সদস্যরা এত চমৎকারভাবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন, যার প্রশংসা প্রত্যেকেই প্রায় করেছেন। সকলেই এসএসএফ সদস্যদের দক্ষতা ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন। যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, আমাদের মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সফলতার পেছনেও এই এসএসএফ সদস্যদের অনেক অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, একদিকে যখন করোনা অন্যদিকে ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভূটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে প্রটোকল এবং নিরাপত্তা দেয়া চ্যালেঞ্জিং ছিল। এতে তারা সফল হয়েছেন।
সেজন্য এসএসএফ’র সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার দল, সশস্ত্রবাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের অবদানের কথাও তিনি স্মরণ করে বলেন, ‘সকলের সহযোগিতার জন্যই এটি আমরা করতে পেরেছি।’
এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এবং অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিএমও সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে যখন তিনি প্রথম সরকার গঠন করেন তখন থেকেই দেখেছেন এই স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও দায়িত্ব পালনকালে তাদের নানাবিধ সমস্যা ছিল।
তিনি বলেন, যেহেতু বিভিন্ন বাহিনীর থেকে এখানে সদস্যরা আসেন তাদের যেমন আবাসন সমস্যা ছিল, তেমনি প্রশিক্ষণের এমনকি ফায়ারিংয়ের জন্য আলাদা কোনো জায়গা ছিল না। এর সমাধান তার সরকার করেছে।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের পক্ষ থেকে ১০০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য দুই কোটি টাকার একটি ব্যাংক ড্রাফট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করেন এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।
মুজিববর্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান সম্পাদিত ‘মুজিব-বাঙালি-বাংলাদেশ’ নামে একটি ই-বুক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকার ঘোষিত অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স হিসেবে নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গঠিত।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়