বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০
২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ায় বিএনপি। কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিপরীতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপিকে দেখা গেছে এলোমেলো। সে সময় অনেকেই বলেছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার চেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিলো বিএনপির লক্ষ্য। এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি শেষ পর্যন্ত থাকার কথা বললেও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একাধিক কারণে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন নিয়ে এবার অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। নগরবাসী অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা রাজনৈতিক বিষয়গুলো বিবেচনার চেয়ে এলাকায় মেয়ররা কি কি উন্নতি করবে সে বিষয়ে অধিক মনোযোগী। আর একারণেই নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির সম্ভাবনা বেশি। কারণ সাধারণ নাগরিকরা এটা স্পষ্টতই জানেন যে, সরকারের সমর্থন ছাড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব ব্যাপার।
বিভুরঞ্জন সরকার আরো বলেন, বিএনপি বাইরে থেকে লোকদেখানো নির্বাচনী প্রচারণা করলেও ভেতরে ভেতরে রয়েছে দলীয় মতবিরোধ। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং সরকারকে আরেকটি বৈধতা দেয়া ইত্যাদি নিয়ে বিএনপির ভেতর মতবিরোধ তুঙ্গে।
এছাড়া বিএনপির তৃণমূলের নেতারাও বলছেন, এই নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। আর একারণেই কর্মীদের কাছ থেকে বিএনপি প্রার্থীরা যখন প্রত্যাখ্যাত হবে, তখন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া তাদের আর কোন বিকল্প পথ থাকবে না।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়