শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০
রাজশাহীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন জেলার পুঠিয়া উপজেলায়। এই রোগী ছিলেন ঢাকা ফেরত একজন দরজি। তারপর এ উপজেলায় আরও চারজন রোগী শনাক্ত হন। তাঁরা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর ফেরত।
এখন পর্যন্ত রাজশাহীর এই উপজেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ কারণে এলাকাটি করোনার অতি ঝুঁকিপূর্ণ (হটস্পট) হিসেবে আখ্যা দেয় মানুষ। এক মাসের ব্যবধানে উপজেলার সব রোগী করোনা জয় করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় এ পর্যন্ত ১৭ জন রোগী শনাক্ত হন। তার মধ্যে পুঠিয়ায় সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ১০ মে লাবণী খাতুন নামের এক রোগীকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়।
পরদিন ইউসুফ আলী ও ১৩ মে বিউটি বেগম, সবুজ আলী ও রুমা আক্তারকে করোনামুক্ত ঘোষণা করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এভাবে করোনামুক্ত হয় পুঠিয়া। এরপর কঠোরভাবে নিয়ম মেনে চলায় এবং উপজেলা প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ওই রোগীদের সংস্পর্শে আসা কোনো ব্যক্তিও করোনায় আক্রান্ত হননি।
পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমা আক্তার বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। পাশাপাশি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংস্পর্শে যাঁরা গেছেন, তাঁদের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসব কারণে নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল উপজেলার বগুড়াপাড়ার ইউসুফ আলীর শরীরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল উপজেলার গন্ডগোহালি গ্রামের লাবণী, ১৯ এপ্রিল নন্দনপুর গ্রামের সবুজ আলী ও ২০ এপ্রিল তারাপুর গ্রামের রুমা আক্তার এবং সৈয়দপুর গ্রামের বিউটি বেগম করোনায় আক্রান্ত হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওলিউজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে রেখে তাঁদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ৭৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে এবং তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সব প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে উপজেলার সব রোগী করোনামুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন এই উপজেলা করোনামুক্ত, তবে নিশ্চিত করে বলা যায় না যে কাল আবার কেউ শনাক্ত হবেন না। এ জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, করোনায় আক্রান্ত পাঁচজন ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা ৬০ ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছিল। এ কারণে বাইরে থেকে আসা কারও মাধ্যমে অন্যরা করোনায় আক্রান্ত হননি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়