শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২০
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে রাজশাহীকে লক ডাউন করে দেয় প্রশাসন। এরপর থেকেই ঘরে বন্দী হয়ে যান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের নির্দেশনা মতে দুপুর দুইটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা পেয়ে ব্যবসায় চালিয়ে যায় তারা। কিন্তু তাতে ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হতে হয়। রমজানে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশা ফল ব্যবসায়ীদের। নগরীর সাহেব বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ফল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউনে বাইরের জেলা থেকে ফল আমদানি করা সম্ভব হয়নি। আবার ক্রেতা সংকটের কারনে ফলের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়। ব্যাবসায়ীরা পড়েন চরম বিপাকে। সাধারণ মধ্য আয়ের শ্রেণীর ক্রেতারা হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায়। লক ডাউন মানতে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝেও ক্রেতা পাওয়া সম্ভব হয়নি। এতে করে ফল ব্যবসায় লোকসানের মোকাবেলা করতে হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। তবে এই রমজানে সে ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে আসবে বলে জানান তারা।
নগরীর সাহেব বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী মামুন ইসলাম আকাশ বলেন, লক ডাউনের কারণে ক্রেতা সংকটটাই ছিল আমাদের প্রধান সমস্যা। আমাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়। রমজান মাসে সকলেই ফল কিনতে আসেন, আমরা কিছু ক্রেতা পাবো । আশা করছি এই মাসে ক্ষতিটা পুষিয়ে নেয়া যাবে।
রমজানের প্রধানত খেজুর বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। বর্তমানে রাজশাহীর বাজারে মরিয়ম জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায়, দাবাস ২২০ টাকা, বরই খেজুর ২৫০ টাকা, আজওয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে। এছাড়াও বর্তমানে বাজারে আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, কমলা ১৮০ টাকা, মালটা ১৬০ টাকা, আঙ্গুর ৫০০ টাকা, পেপে ৯০ টাকা, আনারস ৬০ থেকে ১০০ টাকা এবং লালিম ৪০ টাকা কেজি দরে।
ফল ব্যবসায়ী আখতার হোসেন জানান, বরিশালের পটুয়াখালি থেকে বর্তমানে তরমুজ বেশি এসেছে। প্রায় ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে।
রমজানে ফলের চাহিদা মোতাবেক ফল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ক্রেতাগণ ফল সংগ্রহ করলে ক্ষতির পরিমান অনেকটা পুষিয়ে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
স/মা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়