শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩ মে ২০২০
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রমজান মাসে এতিম মাদ্রাসার ছাত্রদের খাদ্যসহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি।
পুঠিয়া পৌরসভার চারআনী রাজবাড়ী বাজারের মিফতাহুস সুন্নাহ মাদরাসাটি পুঠিয়া পৌরসভার একমাত্র বড় এতিমখানা এবং মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটিতে এতিম শিশুদের কোরাআনের হাফেজি শিক্ষাসহ অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠাটি সরকারি না হওয়ায় বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে (প্রায় ৪২ বছর) ধরে সুনামের সহিত পরিচালিত হচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রতিষ্ঠানটি চালাতেও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, তখন সমাজের বিত্তবানদের দারস্থ হতে হয়।
আর এবার পবিত্র মাহে রমজান মাসে হঠাৎ করেই পৌর মেয়রের এমন আশ্বাসে এতিম শিশুরা যেন নতুনভাবে বেঁচে থাকার অবলম্বন পেয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মুফতি আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৮ সাল থেকে একজন মুফতি ও আটজন শিক্ষক নিয়ে আল্লাহর দ্বীন শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজী, গণিতসহ অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয়। এখানে প্রতিবছর এতিম শিশুরা আল্লাহর দ্বীন শিক্ষা নিয়ে নিজেদের কর্ম উপযোগী হিসাবে গড়ে তোলা হয়।
এছাড়াও মাদ্রাসাটি প্রায় ১৮ জন এতিম ও ৭০ জন ছাত্রদের সার্বিক বিষয়ে দেখাশুনা ও লেখাপড়ার খরচ বহন করেন বিনা পয়সায়। বতর্মানে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বহতি হওয়ায় বিত্তবানদের সামান্য সহযোগিতা ও যাকাতে অর্থে এতিমদের লালন-পালনসহ মাদ্রসাটি পরিচালনা কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ বা মাসিক প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে সকলের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেন। পৌর মেয়রের মতো এমন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে প্রতিষ্ঠানটির আরো অনেক সমস্যা কেটে যেতো বলেও মন্তব্য করেন- প্রতিষ্ঠান পরিচালক মুফতি আতিকুর রহমান।
জানতে চাইলে পুঠিয়া পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাস চলছে। রমজানের দ্বিতীয় দিন সকালে আমার এক ছোট ভাই বিষয়টি আমায় অবহিত করে। এর পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। আমি সাথে সাথে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলি। মাদ্রাসার মুফতি সাহেবকে ফোন দিয়ে এতিম ও মাদ্রাসার সকল সমস্যার বিষয়ে শুনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শকে সামনে রেখে এতিমদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। মানবিক চেতনা থেকে এতিমদের রমজানের সারা মাস ইফতার ও রাতের খাবার সরবারাহ করবো ইনশাআল্লাহ’।
পৌর মেয়র জানান, সপ্তাহের সাত দিনের একদিন মাংস, দুইদিন মাছ, দুইদিন ডিম ও দুইদিন বিভিন্ন সবজি ও ইফতারে সময় ফলসহ ইফতারির মজাদার খাবার আইটেম থাকবে এতিমদের জন্য।
এছাড়াও মাদ্রাসাটির বিষয়ে কি ভাবে আরো উন্নতি করা যায় এবং যেকোন সময় সকল এতিম ছাত্র স্বাস্থ্যগত সমস্যা হলে তিনি সকল প্রকার সহযোগিতা করবেন। সরকারিভাবে কোন সুযোগ আসলে প্রতিষ্ঠানটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় আশ্বাস দেন পৌর মেয়র।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়