শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২০
রাজশাহী জেলার মধ্যে করোনা ভাইরাসের ‘হটস্পট’ এখন পুঠিয়া উপজেলা। জেলায় মোট ৮জন করোনা রোগী সনাক্তকারীদের মধ্যে ৫জন রয়েছেন এই উপজেলায়। আক্রান্ত রোগীরা সকলেই নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকার পোষাক শ্রমিক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিরাতেই ঢাকা অঞ্চল থেকে বিভিন্ন লোকজন কৌশলে বাড়ি ফিরছে। তারা কোনো প্রকার নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে এলাকাতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে এই এলাকায় করোনা রোগীর সংখ্যা মাত্রারিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল রাজশাহী জেলায় সর্বপ্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া-বগুড়াপাড়া গ্রামের একজন পুরুষ পোষাক শ্রমিক। এর একদিন পর অপর রোগী মহিলা পোষক শ্রমিক সনাক্ত হয় সদর ইউনিয়নের গন্ডগোহালী গ্রামে। গত ১৮ এপ্রিল সনাক্ত হয় ভালুকগাছি-ইন্দনপুর গ্রামের একজন ব্যবসায়ী। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল তারাপুর ও সৈয়দপুর গ্রামের দু’জন নারী পোষাক শ্রমিককে করোনা রোগী হিসেবে সনাক্তকরা হয়। তারা সবাই সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা থেকে এসেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, গত দুই সপ্তাহে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই উপজেলায় শতশত লোকজন রাতের আঁধারে বাড়ি ফিরেছেন। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও তারা দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে সবজি ও মাছের ট্রাকের মাধ্যমে এসেছে। যার কারণে এই উপজেলায় গত কয়েকদিনে ৫জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এরা সবাই নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকার পোষাক শ্রমিক।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আমার কাছে ফোন আসছে সম্প্রতি এলাকায় আসা বেশীর ভাগ লোকজন হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে এক সময় সাধারণ মানুষ গণহারে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আকতার বলেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই উপজেলায় মোট ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫জন করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক টিম সার্বক্ষণিক তাদের চিকিৎসা সেবা পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িসহ তারা যে সকল স্থানে যাতায়াত করছেন সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ওই প্রতিষ্ঠান বা বাড়িগুলো লকডাউন করে দিয়েছি। এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনের মাধ্যমে রাখা হয়েছে। আর যারা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তাদের জন্য আমরা প্রতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে রেখেছি। ইতিমধ্যে নিয়মভঙ্গ করায় শিলমাড়িয়া এলাকায় দুইজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
স/সা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়