শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০
রাজশাহী বিভাগে আট জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪২ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। একই সময় মারা গেছেন আরও ৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ২৩৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী।
এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫০০ জন। মারা গেছে ৮০ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন এক হাজার ২৮১ জন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৩৯ জন, নওগাঁয় ১ জন, নাটোরে ৯ জন, বগুড়ায় ১৩৬ জন, সিরাজগঞ্জে ৫৬ জন ও পাবনায় ১ জন।
তবে বিভাগের অপর জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগি শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান। ডা. গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ২ হাজার ৯১৮ জন আক্রান্ত।
এছাড়াও রাজশাহীতে ৬১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৪৫২ জন, নাটোরে ১৬৭ জন, জয়পুরহাটে ৩৬৬ জন, সিরাজগঞ্জে ৪৩৯ জন ও পাবনায় ৪৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৮০ জন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন রাজশাহীতে এক জন, বগুড়ায় চার জন, সিরাজগঞ্জে দুই জন। এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে আটজন, নওগাঁয় ছয়জন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৫২ জন, সিরাজগঞ্জে পাঁচজন ও পাবনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ২৩৬ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ্য হয়েছেন এক হাজার ২৮১ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৬৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ জন, নওগাঁয় ২৫৭ জন, নাটোরে ৫৮ জন, জয়পুরহাট ১৩৭ জন, বগুড়ায় ৫৭৪ জন, সিরাজগঞ্জ ২৩ জন ও পাবনায় ১০৩ জন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে।
এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়