শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯
রাজশাহীর সব রুটেই সকাল থেকে বাস চলাচল করেছে। তবে যেসব পরিবহন ও চালকদের বৈধ কাগজপত্র নেই তারা গাড়ী চালাননি। একারণে সড়কে দিনভর পরিবহন সংকট ছিলো। এছাড়া, বগুড়া, পাবনা, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। একারণে ওই ৫ জেলার বাস রাজশাহীতে আসেনি। এতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ ছিলো চলচলকারী বাসগুলোতে। রাজশাহী-ঢাকা রুটের পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলী বলেন, রাজশাহী থেকে সব রুটেই বাস ছেড়ে গেছে। তবে কিছু কিছু জেলা থেকে বাস আসেনি। এজন্য সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম ছিলো।
এদিকে বগুড়ার ছয়টি রুটেই বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। এর আগে শনিবার বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে রোববার চালু হয়। দুদিন দিন চালু থাকার পর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ৬টি রুটেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বগুড়া-নওগাঁ, বগুড়া-সান্তাহার, বগুড়া-আক্কেলপুর, বগুড়া-আবাদপুকুর, বগুড়া-চাঁপাপুর, বগুড়া-মুলামগাড়ী রুটে বাস চলাচল করছে না। এতে যাত্রীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। তবে উত্তরের আরো প্রায় ৪৫ টি রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
পাবনার সব রুটেই বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। ঘোষণা ছাড়াই শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে যাত্রীরা বাস টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়েন। পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফিরোজ খান জানান, নতুন আইন সংশোধনের দাবিতে শ্রমিকরা নিজে থেকেই যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তবে এজন্য তারা কোন ধর্মঘট ডাকেনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঢাকা কোচ, বিআরটিসি বাস এবং অল্প পরিমানে লোকাল বাস চলাচল করেছে। অধিকংশই বন্ধ ছিলো। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
নাটোরের সব রুটেই বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। তবে পাবনায় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় পাবনায় নাটোর থেকে বাস ছেড়ে যায়নি। শ্রমিক নেতা আব্দুর রশিদ জানান, নাটোরের সব রুটেই গাড়ী চলাচল করেছে। শুধু পাবনা রুটে বাস ছেড়ে যায়নি।
সিরাজগঞ্জে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোন রুটেই বাস চলাচল বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়নি। জয়পুরহাটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোন রুটেই বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে নওগাঁয় বাস চলাচল হঠাৎ করেই মঙ্গলবার বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শ্রমিকরা নিজে থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
নওগাঁ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক জানান, নতুন আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত অভ্যান্তরীন রুটে শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
এন/কে
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়