শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন কর্তৃক উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর উন্নয়নে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজশাহীর চেহারায় পাল্টে যাবে। সারাদেশের মধ্যে রাজশাহী হবে মডেল সিটি। অন্য সিটির মেয়ররা দেখতে আসবেন, কীভাবে রাজশাহীতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে।
শনিবার সকালে নগর ভবনের সিটি হলরুমে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন,জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্মৃতিসৌধ ও হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) মাজার শরীফ উন্নয়ন প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। প্রকল্প দুইটি অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমি আশা করি এই দুইটি প্রকল্পও অনুমোদিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে প্রথমবার মেয়র হয়েই রাজশাহীর চেহারা পাল্টে দেন। রাজশাহী আগে এতো সুন্দর শহর ছিল না, এতো বড় বড় রাস্তা, প্রশস্ত ফুটপাত ছিল না। বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে রাজশাহী একটি অনন্য সুন্দর শহর। আমরা একে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি বলি। এই সফলতা এসেছে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের হাত ধরেই। মেয়র লিটনের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে রাজশাহী আরো সুন্দর শহর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বক্তব্যকালে মেয়র বলেন, ২০০৮ সালে প্রায় ১৭ কোটি টাকার দেনা নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এরপর দায়িত্ব ছাড়ার সময় ৬ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রেখে গিয়েছিলাম। ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার প্রায় ১০৩ কোটি টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে মাসের বেতন দুইমাস পর হতো। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতি মাসের বেতন মাসের শুরুতে নিয়মিতভাবে প্রদান করা হচ্ছে।
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীতে দ্রুতই নগরায়ন হচ্ছে। বড় বড় সুউচ্চ ভবন, বড় বড় রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত হচ্ছে, নাগরিক সুবিধা বাড়ছে। মহানগরীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নতুন নতুন প্রকল্প অনুমোদনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীকে সার্বিক দিক দিয়ে আরো উন্নত, বাসযোগ্য সুন্দর নগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু।
সূচনা বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ পত্নী ইসমত শিরিন, রাজশাহী ওয়াসার এমডি সুলতান আব্দুল হামিদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মজিবুর রহমান।
সভায় রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলিসহ অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আকতার জাহান, মেয়রের একান্ত সচিব আলমগীর কবির, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলারসহ রাসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নগরভবনের প্রধান ফটকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে বর্ণিল আয়োজনে স্বাগত জানানো হয়। এরপর সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও সচিবপত্নীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও কাউন্সিলরবৃন্দ।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়