শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২০
অপহরণের মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদী ও ভিকটিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: মাহবুবুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রাজশাহীর পবা থানার আলিমগঞ্জ গ্রামের মো: আজিজুল হক এর ছেলে মমিন হোসেন(৩০) মাগরিবের নামাজের পর বাড়ির সামনে থেকে অপহৃত হয়। পরে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত মানুষের বাড়িতে ভিকটিমকে খুজে না পাওয়ায় তার ভাই ইসমাইল হোসেন ওই বছরের ২৩ আগষ্ট পবা থানা আমলী আদালতে অপহরণ মামলা করে।
মামলায় একই থানার আলিমগঞ্জ গ্রামের মৃত. বুধু’র ছেলে মো: জাকারুল ইসলাম (৩৫), মৃত. আব্দুর রশিদ এর ছেলে ওসমান গনি (৫৫), হাসিবুল (৩০), ওয়াসিম (২৮) ও হলদিবোনা গ্রামের জিল্লার রহমান এর ছেলে সোহেল (৩৫) এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়। মামলায় অপহরণ পূর্বক হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগ এনে দন্ডবিধির ৩৬৪/৩৪ ধারা অভিযোগ আনা হয়েছিল।
আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্তের পর ভিকটিম মমিনের গুম হওয়ার ঘটনার সত্যতা উদঘাটন ও ভিকটিম মোমিনকে উদ্ধারে চেষ্টা করে। মামলার সত্যাতা না পেয়ে এবং মোমিনকে উদ্ধার করতে না পেরে মামলার তদন্ত, সাক্ষ্য প্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শি^কতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার নিষ্পত্তির লক্ষে চুড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখির করে।
আদালত সূত্র আরো জানায়, ২০১৬ সালের ৩ আগষ্ট রাজশাহীর বিভিন্ন লোকাল পত্রিকায় ভিকটিম মোমিন নিখোজ হওয়ার সংবাদটি প্রকাশিত হয়। আবার এই অভিযোগের আসামীরা প্রায় ৯ মাস হাজতে খাটেন।
পরবর্তিতে আসামীগণ জামিনে মুক্ত হয়ে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর আসামী পক্ষে দরখাস্তের মাধ্যমে ভিকটিম সম্পর্কে তথ্য দেন। দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়- ভিকটিম আব্দুল মোমিন সাপাহার থানায় দায়ের করা ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ২৪(ক) ধারার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিন পেয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে আদালত দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভিকটিম মোমিন ও বাদী ইসমাইল হোসেনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিলে তারা ৯ ডিসেম্বর বুধবার আদালতে উপস্থি হন।
এ সময় এজাহারকারী ও ভিকটিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় তাদের কার্যক্রমে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২১১ ধারার ২য় অংশের অপরাধ আদালতের নজরে আসায় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আর মামলায় আসামিদের মামলার দায় হতে অব্যহতি প্রদান করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশিদ বাবু বলেন, এটি একটি নেক্কারজনক ঘটনা। ভিকটিম মোমিনের সাথে জমিজমার নিয়ে বিরোধ থাকায় সে নিজে ৪ বছর আত্মগোপন করে আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছে।
কিন্তু আদালতের কাছে সত্য প্রকাশিত হওয়ায় আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমি আমার মক্কেলের পক্ষে আইগত ভাবে সর্বোচ্য শাস্তি চাই।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়