শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২
কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা জমেছে। ট্যানারি মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা রাজশাহীর বেলপুকুর ও নাটোরে আড়ৎগুলো থেকে পশুর চামড়া কিনছেন। তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার চামড়া ভালো দামে কেনাবেচা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা জানায়, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও অনেক সময় বেশি দামে কেনাবেচা হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। তাতে লাভের মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। ছাগল ও বকরির চামড়া কেনাবেচা শেষ পর্যায়ে। আর গরুর চামড়া ৭০ শতাংশ কেনাবেচা হয়ে গেছে। এবছর বেশির ভাগ নগদ টাকায় চামড়া কেনাবেচা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ঢাকায় ১৮ থেকে ২০ টাকা, বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাটোর চামড়া ব্যবসায়ীরা জানায়, নাটোর থেকে ঢাকার ১৫টির বেশি ট্যানারি মালিক চামড়া কেনে। তবে এই অঞ্চলে তুলনামূলক কম আসেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। এবছর ইদের কয়েকদিন পরেই ছাগলের চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়। আর সপ্তাখানেক পরে গরুর চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়। তবে বর্তমানে কেনাবেচা শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন ব্যবসয়ীরা।
বর্তমানে নাটোরের কিছু আড়তে এ গ্রেডের চামড়া রয়েছে। সেগুলো কেনাবেচা চলছে। তুলানামূলক ভালো দাম পাচ্ছেন আড়তের ব্যবসায়ীরা। কোরবানির মাঠ ও মৌসমী ব্যবসায়ীদের থেকে কেনার পরেও বিক্রিতে লাভ থাকায় খুশি তারা। কারণ ট্যানারি মালিকরা অনেক সময় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দামে কোরবানির পশুর চামড়া কিনছেন। প্রতিদিন নাটোর থেকে ১০ থেকে ১২ টি ট্রাকে চামড়া নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকার ট্যানারি মালিকরা।
রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ জানান, নাটোরে পুরোদমে চামড়া বিক্রি জমেছে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ চামড়া বিক্রি হয়ে গেছে। বাকিগুলো অল্প সময়ে মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে। নাটোরে গরুর চামড়া ট্যানারি মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা প্রকার ভেদে কিনছেন ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা দরে।
তিনি আরো বলেন, বড় গরুগুলোর চামড়া ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গায় গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা। তবে মহিষের চামড়া গরুর তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। মহিষের চামড়া ১৪০০ থেকে ১৭০০ টাকা দরে কিনেছে ট্যানারি মালিকরা। আর ছাগলের চামড়া ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপ নাটোরের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, চামড়া বিক্রি শেষ পর্যায়ে। এখন কিছু এ গ্রেডের চামড়া রয়েছে আড়তে। সেগুলো কেনেবেচা চলছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক চামড়া নাটোর থেকে ট্যানারি মালিকরা নিয়ে যাচ্ছেন। এবছর বেশির ভাগ নগদ টাকায় চামড়া কেনাবেচা হয়েছে। অল্পকিছু ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া বিক্রি করেছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়