শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২০
করোনাভাইরাসের কারণে চিকিৎসকরাও আতঙ্কে। রাজশাহীর অনেকেই তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দিয়েছেন। বন্ধ রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসকদের চেম্বার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন রোগের রোগিরা। এই ভোগান্তি দূর করতে সব চিকিৎসকের চেম্বার খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
চিকিৎসকরা যেন সুরক্ষিতভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) এবং গগলস দিয়েছেন তিনি। রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীর কাছে ৩৫ পিস পিপিই এবং সমপরিমাণ গগলস হস্তান্তর করেন তিনি। বার বার ব্যবহারযোগ্য এসব পিপিই ও গগলস টিম ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে সংগ্রহ করে আনেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
এগুলো হস্তান্তরের সময় পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) রাজশাহী শাখার সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান শেখ, রামেকের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, চিকিৎসকরা সরকারি দায়িত্ব পালনের পর বিকালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে থাকেন। এতে রোগিরা সেবা পান। কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা না থাকার কারণে কোনো কোনো চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ রাখছিলেন। এতে বিভিন্ন রোগের রোগিরা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। এই সংকট কাটাতে তিনি পিপিই সংগ্রহ করে আনেন। এখন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলবেন, যেন রোগিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত চেম্বারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।
বিএমএ’র জেলা সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ জ¦র-সর্দি-কাশি-শ^াসকষ্ট। কিন্তু এর বাইরেও অনেক রোগি আছে। কেউ হার্টের, কেউ দুর্ঘটনার, কেউ শারীরিক অন্যান্য সমস্যার রোগি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের চিকিৎসাও কঠিন হয়ে পড়ছিল। এ অবস্থায় এসব চিকিৎসাসামগ্রী তাদের কাজে দেবে। চিকিৎসকরা চেম্বারে বসতে পারবেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, চিকিৎসকরা চেম্বারে না বসার কারণে এখন অনেকেই কটাক্ষ করছেন। কিন্তু সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা চিকিৎসকদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে পিপিই দিলেন। এ জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। এখন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকে রোগি আসছেন না। এসব পিপিই দিয়েই জেলার রোগিদের সেবা দেয়া সম্ভব হবে। এতে রোগিরাই উপকৃত হবেন।
পিপিই দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্বাচিপ নেতা তবিবুর রহমান শেখ বলেন, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সব মানুষেরই দুঃখ-কষ্ট বোঝেন। তাদের পাশে থাকেন। তিনি আমাদের সমস্যাটাও বুঝে পিপিই’র ব্যবস্থা করে দিলেন। এগুলো পানিতে ধুয়ে বার বার ব্যবহার করা যাবে। চিকিৎসকরা নিরাপদে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে পারবেন। এসব পিপিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
স/সা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়