শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২
রাজশাহী নগরীর জুতার দোকানগুলোতে ভিড় জমছে ক্রেতাদের। সরেজমিনে, গতকাল শনিবার (২৩ এপ্রিল) নগরীর জুতার দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে ক্রেতারা দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।
নগরীর সাহেব বাজার, গণকপাড়া মোড়, ভূবনমোহন পার্ক এলাকা, রানী বাজার বাটার মোড়, অলোকার মোড়, গোরহাঙ্গা নিউমার্র্কেট, খড়খড়ি বাইপাস, বায়াবাজার, ভূগরইল মোড়, ভদ্রা, তালাইমারী, বিনোদপুর, লক্ষীপুর মোড়, ঘোষপাড়া, কোর্ট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের পদচারণা বেড়েছে।
ভূবনমোহন পার্র্কের সামনে ওসমান প্লাজায় ছোট বড় প্রায় ৩০ টির বেশি জুতার দোকান আছে। বাহিরে ফুটপাতেও বাহারি ডিজাইন ও বিভিন্ন দামের জুতা দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছে, বাচ্চাদের চায়না ব্র্যান্ডের জুতা বেশি চলছে। যার দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মেয়েদের জুতার দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। ফ্ল্যাট চটি জুতাগুলো ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
গণকপাড়া মোড়ে লোটোর মার্র্কেটে রিমা খাতুন এসেছেন ছেলের জন্য জুতা কিনতে। প্রতিবছর দু’একবার বাটা, এপেক্স, লোটো, পান্ডাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা পরিবারের জন্য কিনে থাকেন।
তিনি বলেন, অনলাইনে অর্ডার করার চেয়ে মার্কেটে এসেই কিনতে পছন্দ করি। এসে দেখছি জুতা কিনলে অফার আছে। ভালোই হলো স্বামী সন্তান সবার জন্যই আজ পছন্দমত জুতা কিনতে পারব। ফুটপাতেও জুতা দেখে এসেছি খুব খারাপ নয়। বেশির ভাগ পান্ডা ব্রান্ডের ১ হাজার ২০০ টাকা দামের জুতা দেখলাম অসাধারণ। মেয়াদ থাকছে না বলে বড় দোকানে এসেছি।
সুমি সু স্টোরের প্রোপাইটর রাজু আহমেদ (জয়) জানান, নতুন নতুন ডিজাইন এলেও ২০ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত জুতার বেচাবিক্রি খুব একটা ভালো ছিল না। তবে করোনার সময়ের গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি ভালো হবে । কারণ প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জোড়া জুতা বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের রুচির পরিবর্তন ও মানের বিষয়ে সচেতন হওয়ায় এ বছর ব্র্যান্ডের জুতার চাহিদা বেড়েছে। তবে সার্বিকভাবে সারা বছর যে পরিমাণ জুতা বিক্রি হয়। তার বড় অংশই নন ব্র্যান্ডের। আর প্রতি বছর ২৫-৩০ শতাংশ জুতা বিক্রি হয় এ ইদুল ফিতরে।
গণকপাড়া মোড়ের লোটো শোরুমের ম্যানেজার রিফাত বলেন, সব ইদেই নিত্যনতুন নকশার জুতা আসে বাজারে। এছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন ডিজাইনের জুতা আসছে। তবে সে তুলনায় ক্রেতা আসছে কম। আমরা আরও ভালো বিক্রি আশা করেছিলাম। নিজস্ব উৎপাদনের পাশাপাশি বাটা দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা আমদানি করে। সেসব ব্র্যান্ডের জুতারও নতুন নতুন ডিজাইন এসেছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়