শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩
দীর্ঘ ছয় যুগ থেকে ‘দিল্লির শাহী ফিরনি’র ঐতিহ্য ধরে রেখেছে রহামানিয়া। সুদীর্ঘ এই পথ চলায় স্পেশাল এই ‘দিল্লির শাহী ফিরনি’ রাজত্ব করছে ভোজন রসিকদের মনে। তাই প্রতি রমজানে এক শ্রেণির ফিরনি প্রেমিরা ভিড় জমায় রহামানিয়ায়। তাদের প্রথম পছন্দ দিল্লির শাহী ফিরনি। তাই প্রতি বছরই বাড়ছে ফিরনির চাহিদা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, প্রতিবেশী দিল্লির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে প্রাচীন শহর রাজশাহীতে। অমৃত স্বাদের এই শাহী ফিরনি রাজশাহীতে ৭৩ বছর ধরে পাওয়া যাচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসে রাজশাহীর মানুষের কাছে ইফতারে সময় বাহারি পদের সঙ্গে দিল্লির এই শাহী ফিরনি বেশ জনপ্রিয়।
রাজশাহী নগরীর গণকপাড়ায় রহমানিয়া হোটেলের ঐতিহ্য ‘দিল্লির শাহী ফিরনি’ রোজাদারদের ইফতারের তৃপ্তি মেটাচ্ছে যুগযুগ ধরে। জনপ্রিয় এই ফিরনি এক শ্রেণির রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।
ফিরনি কিনতে আসা আবদুর রহিম বলেন, ফিরনি ভালো লাগে। প্রতিবছর ইফতারে খাই। ইফতারে ফিরনি ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগের তাদের পরিবেশনটা। তারা মাটির পাত্রে ফিরনি দেয়। এটা আমার অনেক ভালো লাগে।
ফিরনির কারিগর মো. চান মিয়া জানান, ঐতিহ্যবাহী ফিরনী তৈরিতে গরুর খাঁটি দুধ, কহিনীর চালের গুঁড়া, কাজু বাদাম, কিসমিস, চেরিফলসহ বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়। এরপর মাটির পেয়ালায় জমিয়ে রেখে পরে তা বিক্রি করা হয়।
রহমানিয়া হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী রিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫১ সালে এক সময় ভারত থেকে সুস্বাদু এ খাবারটি রাজশাহীতে প্রচলন শুরু করেন তার দাদা আনিসুর রহমান খান। গণকপাড়ার ওই দোকানেই ছোট পরিসরে শাহী ফিরনি প্রস্তুত শুরু করেছিলেন। এরপর তাতে হাত দেন বাবা হাজি আব্দুল বারী খান।
শুরু থেকেই শাহী ফিরনী রাজশাহীবাসীর মন জয় করে নেয়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের হোটেল ব্যবসার প্রসার হয়। নামডাক ছড়াতে থাকে এই শাহী ফিরনির। তিন প্রজন্মের ঐতিহ্য ধরে রেখেই তারা এখনো শাহী ফিরনি বিক্রি করছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়