শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২০
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চরের একমাত্র পাকা রাস্তাটি। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার মানুষ। পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে মানুষ বসবাস করছে। চরবাসীর দাবি, ৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হলে শিমুলতলার সঙ্গে তাদের পাকা রাস্তায় চলাচল করার সুযোগ হতো। দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতো।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের মধ্যে এলজিইডির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রায় ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। চকরাজাপুর ইউনিয়নের আজিজুল আযম চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে কালিদাসখালীর বাবলু শিকদারের বাড়ি পর্যন্ত ওই রাস্তা নির্মাণ করা হয়। পদ্মার চরে প্রথমবারের মতো ওই রাস্তা পেয়ে চরবাসী বেজায় খুশি ছিল। কিন্তু ৪-৫ বছরের ব্যবধানে ওই রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগ পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। ইতিমধ্যে পদ্মার মধ্যে ৬টি চরে ২ হাজার ৪৮৬ গ্রাহকের জন্য ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের কাজ চলতি বছরে শেষ হবে।
বর্তমানে খুঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি একনেকে পাস হলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে চরবাসীর দাবি পদ্মায় বাঁধ দিয়ে চরের মানুষ ভাঙন থেকে রক্ষা হবে। পদ্মার বাঁধ না দিলে দুই-এক বছরের মধ্যে ১৫টি চর বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি স্কুল, মসজিদ, হাজার হাজার একর আমবাগান, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার শিকদার বলেন, চলতি বন্যায় কালিদাসখালী ও লক্ষ্মীনগর সরকারি প্রাইমারি স্কুল পদ্মা গর্বে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া হাজার হাজার আবাদি জমি পদ্মা গর্ভে চলে গেছে। আমার নিজের ২৫ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে আমার কোনো আবাদি জমি নেই। যে কোনো সময়ে পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে চরাঞ্চল। এখনও সময় আছে, চর রক্ষা করতে হলে বাঁধ নির্মাণ অতিজরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছিল। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ না করার কারণে রাস্তাটি ভাঙতে ভাঙতে প্রায় পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চরের মানুষ ব্রিজ ও বিদ্যুৎ পেতে যাচ্ছে। রাস্তাও পেয়েছিলাম। এখন একটিই দাবি ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আর বাঁধ নির্মাণের।
বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন, পদ্মার মধ্যে বাঁধ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে পদ্মার পাড় বাঁধার বিষয়টি একনেকে পাস হয়ে আছে। চলতি অর্থবছরের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়